ꦦ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি এবং এখন আমরণ অনশন করছেন। মাঝে দেখা যায়, দ্রোহের কার্নিভাল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা যতই আন্দোলন করুন না কেন এখন তাঁদের নানা কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা খুলে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আবার তাঁরাই রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার তাঁরা আজ শনিবার ন্যায়বিচার যাত্রা করতে চলেছেন। যাঁরা স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা খুলেছেন সরকারি হাসপাতালের নামে এবং ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা রয়েছে সেই অ্যাকাউন্টে। সুতরাং তাঁদের ন্যায়বিচার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর এই যাত্রায় থাকছেন নির্যাতিতার বাবা–মা বলে খবর।
✅এদিকে শনিবার দুপুরে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ। সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র মিছিল হবে। তাতে যোগ দেবেন নির্যাতিতার বাবা–মা। গোটা মিছিলে জুনিয়র ডাক্তাররা না হাঁটলেও, সোদপুরে থাকবেন তাঁরা। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। সোমবারের মধ্যে যদি ১০ দফা দাবি পূরণ না হয় তাহলে মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার আগে এই ন্যায়বিচার যাত্রায় তাঁরাও থাকবেন। যেটা তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ‘এমন কিছু করবেন না যাতে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়’, নারায়ণবাবুর পোস্টে বিতর্ক
অন্যদিকে আজ সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্য়ায়বিচার যাত্রা’র ডাক দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা যে, পরে বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে। রবিবার ধর্মতলার মঞ্চে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওই মহাসমাবেশে জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের প্রত্যেককে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। নিহত তরুণী চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়়ি থেকে সোদপুর পর্যন্ত রিলে মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। সেই মিছিলই আসবে ধর্মতলা পর্যন্ত।ꦦ এই ১৯ কিলোমিটারের দীর্ঘ রাস্তায় মিছিল হলে শহরে যানজট তীব্রতর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া আন্দোলনকারী ডাক্তারদের পাশে আছেন নির্যাতিতার বাবা–মা। বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধানের বারবার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ধরনা মঞ্চে গিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। কিছুদিন আগে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায় তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের লোকজনকে। দুর্গাপুজোর সময় বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছিলেন তাঁরা। এবার ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’য় অংশ নেবেন নির্যাতিতার বাবা–মা।🌜 তবে এই বৈঠক থেকে সমাধানসূত্র বেরবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।