১০০ টাকা বা ১০০০ টাকা নয়, একেবারে ১৫ লক্ষ টাকা। এখনকার দিনে 🌱রাস্তায় টাকা পড়ে থাকলেই তা কুড়িয়ে পকেটে ভরতে দ্বিধা করেন না সাধারণ মানুষ। সেই জায়গায় রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকার চেক পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে সততার নজির গড়লেন এক রিকশা চালক। এমনই ঘটনা ঘটেছে বাগুইআটিতে। রিকশা চালকের নাম নুর আলি। তাঁর এমন সততায় মুগ্ধ পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লোকসভার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্ꦰরীর ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার ১১ লক💎্ষ নগদ টাকা
জানা গিয়েছে, বছর ৪০-এর নুর আলি বাগুইআটির জোড়ামন্দির এলাকায় রিকশা চালান। প্রতিদিনকার মতো তিনি রিকশা নিয়ে বেরিয়েছিলেন কাজে। ঠিক সেই সময় চিনার পার্ক এলাকায🐎় রাস্তায় চারটি চেক পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর সেই চেকগুলি কুড়িয়ে বুঝতে পারেন আসলে তাতে প্রচুর অঙ্কের টাকা উল্লেখ রয়েছে। এরপর চেকগুলি নিয়ে তিনি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের স্থানীয় অফিসে যান। ঘটনায় ব্যাঙ্কের তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেইমতো পৌঁছয় পুলিশ। এরপর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কথা মতোই সেই টাকা পুলিশের হাতে তুলে দেন নুর আলি। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, চেকগুলিতে মোট টাকার পরিমাণ ছিল ১৫ লক্ষ। ফলে এত পরিমাণ টাকার চেক ফিরিয়ে দেওয়ায় নিঃসন্দেহে সততার পরিচয় দিয়েছেন রিকশা চালক।
জানা গিয়েছে, নুরের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তাতেই কোনওভাবে টান টান করে চলে সংসার। অনেক কষ্টে চলে তাঁর সংসার। বর্তমানে তাঁর🌌 পরিবারের রয়েছেন স্ত্রী এবং দুই সন্তান। তাদের একজনের বয়স ৮ বছর এবং অন্যজনের ১১ বছর। অনেক কষ্ট করে তাদের বড় করছেন। কিন্তু তারপরেও এত পরিমাণ টাকার চেক দেখে লোভ হয়নি নুরের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত নুর আলি। তিনি প্রায়ই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর সেই পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ღছে থেকেই ১৫ লক্ষ টাকার চেক ফিরিয়ে দেন পুলিশের কাছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই চেকের আসল মালিককে খুঁজে পেতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই জানা যায় চেকের আসল মালিকের পরিচয়। পুলিশ জানতে পারে, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের পূর্বাচল শাখার ওই চেকগুলি ইস্যু করা হয়েছিল একজনের নামে।সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। এরপরেই প্রমাণ খত🌠িয়ে দেখে চেক তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। এবিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার বলেন, এথেকে প্রমাণ হল যে সমাজে এখনও কি🐲ছু সৎ মানুষ আছেন।