সন্দেশখালিতে ইডি ও CRPF-এর ওপর তৃণমূলের গুন্ডা শেখ শাহজাহানের বাহিনীর আক্রমণে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাজ্য সরকারকে তিনি মনে করালেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের। সেই দায়িত্ব পালনে কেন মমতার সরকার বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র।এদিন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নিশীথবাবু বলেন, কোনও রাজ্যে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে গেলে তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্যেরই। এই আক্রমণ কিন্তু কেবলমাত্র নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপরে নয়। এটা ষুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আক্রমণ। আর বাংলায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটেছে। এটা দুঃখজনক। কেন্দ্র এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে’।সন্দেশখালির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যে অডিয়ো বার্তা জারি করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ ঘটনার খবর সন্দেশখালি থেকে পেয়েছি তা উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বর্বরতা ও তাণ্ডব বন্ধ করা গণতন্ত্রে যে কোনও সভ্য সরকারের দায়িত্ব। সরকার তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সংবিধান তার পথে চলবে। রাজ্যপাল হিসাবে এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি আমার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষিত রাখছি। পেশিশক্তির প্রদর্শন ও কাগুজে বাঘদের দিয়ে কদমতাল করিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উপকার হবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডারাজ শুধু মুর্খের স্বর্গে কাজ করে। বাংলা কোনও বানানা রিপাবলিক নয়। সরকারের তাদের পদক্ষেপ করা উচিত। ভোটপূর্ব এই হিংসা নিশ্চিতভাবে অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত। এই হিংসার দায় শুধুমাত্র বর্তায় সরকারের ওপর। সরকারের উচিত চোখ মেলে বাস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত’।শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী - পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।