তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই তার নানা নজির রয়েছে। তবে এবার সরস্বতী পুজো কারা করবে তা নিয়েও টিএম💃সিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল স꧋ংঘর্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কলেজের ঘটনা। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে চলে তুমুল বচসা। টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। কলেজের অধ্য়ক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে দীর্ঘ আট বছর ধরে বালুরঘাট কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। তবে কলেজে বর্তমানে টিএমসিপিরই র🃏মরমা। কিন্তু দুই গো♑ষ্ঠীর মধ্যে কাদের দখলে কলেজের রাশ থাকবে তা নিয়ে বিবাদটা লেগেই থাকে। তবে সরস্বতী পুজোর আয়োজন কারা করবে তা নিয়ে এই বিবাদ একেবারে মাত্রাছাড়া হয়ে যায়। ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজোর আয়োজনের জন্য় কলেজের কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে সম্প্রতি একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। এদিকℱে সেই কমিটিতে সম্পাদক হিসাবে রয়েছেন খোদ অধ্যক্ষ। কিন্তু অভিযোগ, কলেজে টিএমসিপির অপর গোষ্ঠী তাদের হাতে পুজোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইছে। তারা পুজোর আয়োজনের জন্য নির্ধারিত নতুন কমিটিকে মানতে চাইছে না। এদিকে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীই বহিরাগতদের নিয়ে এসে পুজো আয়োজনের অভিয♏োগ তুলেছে। দুই গোষ্ঠীরই দাবি, বহিরাগতদের নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অতনু রায় সংবাদমাধ্💎যমকে জানিয়েছেন, কলেজের ছাত্রদের নিয়েই সরস্বতী পুজো করতে হবে। বহিরাগত কেউ যাতে সরস্বতী পুজোয় হস্তক্ষেপ না করে সেটা দেখার জন্য ছাত্র নেতাদের বলা হয়েছে।
অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলেজে কোনও নির্বাচিত সংসদ নেই। সেকারণে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আয়োজক কমিটি করা হয়েছে। তারাই সরস্বতী পু🃏জোর আয়োজন করবে। প্রতিবছর যেভাবে পুজোর আয়োজন ⛦করা হয় এবারও সেভাবেই পুজোর আয়োজন করা হবে।
সূত্রের খবর, কলেজে দুই ছাত্র নেতা মনি দাস ও সুরজ সাহার মধ্যে দীর্ঘদিন 🗹ধরেই বিবাদ রয়েছে। মূলত সেই দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যেই বিবাদ বাঁধে। আর এবারও সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিয়েও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ♓বিবাদ চরমে উঠেছে। দু পক্ষই বহিরাগতদের নিয়ে এসে পুজো আয়োজনের অভিযোগ তুলেছে। তবে এই বিবাদ যাতে কোনওভাবেই কলেজের পরিবেশকে বা সরস্বতী পুজোর আয়োজনে বাধা তৈরি করতে না পারে সেকারণে আগাম সতর্ক রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।