বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের আঁচ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। হোয়াটসঅ্যার গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক এখন বজায় রয়েছে। আর এরই মাঝে বঙ্গে তাদের সবচেয়ে বড় ‘ভোট ব্যাঙ্ক’- মতুয়াদের হারানোর শঙ্কায় ভুগছে গেরুয়া শিবির। নেপথ্যে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সেই শান্তনুত বাড়িতেই বিজেপির আরও বেশ কয়েকজন ‘বিক্ষোব্ধে’র বৈঠক হল রবিবার সন্ধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন পদ খোয়ানো সায়ন্তন বসু থেকে জয়প্রকাশ মজ𒁏ুমদার। রীতেশ তিওয়ারিও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন আরও অনেকেই। যদিও বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও শব্দ খরচ করতে নারাজ বিক্ষুব্ধরা।
উল্লেখ্য, বিদত বেশ কয়েকদি ধরেই বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। নয়া দুই কমিটির সদস্য তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক দেখা দিয়েছে। কমিটিতে মতুয়াদের ষথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ তুলে গ্রুপ ছেড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিধায়ক - অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। গ্রুপ ছাড়েন শান্তনু ঠাকুরও। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দেন ‘আল্টিমেটাম💙’ও। এর জেরে বঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বঙ্গ বিজেপির এই বিদ্রোহ প্রসঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা কর𓆏তে সম্ভবত কয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লি উড়ে যাবেন শান্তনু। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। তার আগে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বঙ্গে দলেন অন্তর্দ্বন্দ্ব বা বিদ্রোহের আসল কারণ বোঝার দায়িত্ব দিয়েছে শান্তনু ঠাকুরের উপরই। অভিযোগ উঠেছে, জেলা কমিটিতে এমন বহু লোক আছেন যাঁরা না নিজেরা জেলা চেনেন, না জেলার মানুষ তাঁদের চেনেন। রাজ্য কমিটিতেও অনেক সক্রিয় নেতা-কর্মীর বাদ পড়ার অভিযোগ। এই আবহে শান্তনুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বর্তমান জেলা কমিটিরও বেশ কয়েকজন সদস্য ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।