সন্দেশখালি স্টিং অপারেশন নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের ঝড় তুলেছে তৃণমূল তখন রাজ্যে এসে ওই ইস্যুতে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেন অমিত শাহ। সোমবার দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে প্রচারে এসে দাবি করলেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে।🌼 এদিন ফের শেখ শাহজাহানকে পাতাল থেকে বার করে সাজা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ত🔯িনি।
আরও পড়ুন: মনোনয়নে উত্তেজনা, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে✃র বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের 🌜হল থানায়
পড়তে থাকুন: অনুব্রত অতীত, বীরভূমে এবার পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে🌳, দাবি দেবতনু ভট্ট✱াচার্যর
ধর্মের ভিত্তিতে ধর্ষণ হয়েছে
এদিন অমিত শাহ বক্তব্যের একেবারে শেষে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, ‘সন্দেশখালিতে তৃণমূলের নেতারা ধর্মের ভিত্তিতে আমাদের হাজার হাজার বোনেদের ওপর অত্যাচার করেছে। মমতা দিদি এদের ধরতে রাজি ছিলেন না﷽। হাইকোর্টকে অর্ডার দিতে হয়েছে। তার পরেও তদন্ত কর🌄েনি। তাই হাইকোর্ট সিবিআইকে এর তদন্তভার দিয়েছে। শাহজাহানকে গরাদের পিছনে পাঠানো উচিত। মমতা দিদি, আপনার লজ্জা করা উচিত। আপনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আপনার রাজত্বে হাজার হাজার মহিলার ওপর নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে, আপনার কোনও হেলদোল নেই’।
শাহের হুঁশিয়ারি, ‘সন্দেশখালিতে যে অত্যাচার করেছে মমতা দিদি তাকে পাতাল🌼ে লুকিয়ে রাখলেও আমরা তাকে খুঁজে জেলে ভরব’।
আরও পড়ুন: আমাদের আন্দোলন নিয়ে বলার ✤উনি কে? গঙ্গাধরের বাড়িতে বিক্ষোভ সন্দেশখালির মহিলাদের
স্টিং অপারেশনকে ঘিরে তোলপাড়
একটি স্টিং অপারেশনকে কেন্দ্র করে🌠 ভোটের মুখে ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। শনিবার একটি কুলগোত্রহীন ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত ওই স্টিং অপারেশনে সন্দেশখালি ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োতে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির সামনে তিনি দাবি করছেন, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ ভুয়ো। বিজেপি নেতারা মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করিয়েছেন। এমনকী ভোটের সময় কত অস্ত্র লাগবে তা নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। প্রথমে কণ্ঠস্বর তাঁর বলে মেনে নিলেও পরে গঙ্গাধরবাবু বলেন, কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিয়োকে ডিপ ফেক বলে দাবি করেছেন। ওদিকে এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে দেশজুড়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।