গত মার্চে কলকাতার গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে পরে ভয়ঙ্কর দুর💮্ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেই রাজ্যের সমস্ত পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমও অবৈধভাবে তৈরি হওয়া নির্মাণ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে। এইꦅ পুর এলাকার মধ্যে গড়ে ওঠা একের পর এক বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অবৈধভাবে কোনও নির্মাণের অভিযোগ উঠলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শিলিগুড়ি পুর এলাকায় কোনও না কোনও নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরও একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলল শিলিগুড়ি পুরসভা।
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ কীভাবে রুখতে হবে? সব পুরসভাকে পুস্তিকা পাঠাল পুর দꦛফতর
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভানুনগর এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হল। অভিযোগ, ভানুনগর এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ শাহ কোওরকম বৈধ প্ল্যান ছাড়াই দুতলা বাড়ি বানিয়েছিলেন।সেই🌟 ঘটনায় পুরনিগমে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপরেই বাড়ির মালিককে নোটিশ দেয় পুরসভা। তবে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাড়ির মালিক। গত ১১ জুন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ সমস্ত কিছু নথি খতিয়ে দেখার পর অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয়।
এরপরই পুরনিগমের তরফে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে যাওয়া হয়। কিন্তু, জলপাইগু🐻ড়ি সার্কিট বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সন্তোষ শাহ। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে যায় বাড়ির মালিকের আবেদন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট মালিকের আবেদন খারিজ করে অবিলম্বে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয়। এরপরই এদিন ভানুনগরে গিয়ে ওই অবৈধ নির্মাণটি ভেঙে দেন পুরনিগমের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। কয়েকদিন আগেই শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ায় একটি বাড়ির ছাদে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিয়েছিল পুরসভা। জানা যায়, ওই বাড়ির ছাদে কোনওরকম বৈধ প্ল্যান ছাড়া ঘর তৈরি করেছিলেন 🐓মালিক। এরপর পুরসভা বাড়ির মালিককে নোটিশ 🌟পাঠায়। শেষপর্যন্ত সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়। আর এবার ভানুনগরে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হল। জানা যাচ্ছে, বুলডোজারের সাহায্যে এদিন বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়। ভেঙে ফেলার কাজে পুরসভার প্রচুর কর্মী ছিলেন।