স্বনির্ভর গোষ্ঠী দুর্নীতি কাণ্ডে ক্রমশই আন্দোলনের তেজ বা꧙ড়াচ্ছেন বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের ♊মানিকবাজার এলাকার মহিলারা। ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সোনামুখি ব্লকের কৃষ্ণবাটি এলাকায় সোনামুখি - বিষ্ণুপুর রাস্তা অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
বাঁকুড়ার সোনামুখি ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটিরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীর সদস্যাদের নাম কꦇরে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন সংঘের সিএসপিরা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত সোনামুখির মানিকবাজার এলাকা। গোষ্ঠীꦦর মহিলাদের দাবি, তাঁদের অজান্তেই তাঁদের নামে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা না পেলেও প্রতিটি সদস্যার কাঁধে এখন চেপে বসেছে হাজার হাজার টাকার ঋণের বোঝা।
অবিলম্বে ওই ঋণ মকুব ও প্রতারকদের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যারা লাগাতার আꦚন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ সকালে একই দাবিতে এলাকার প্রতারিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা কৃষ্ণবাটি এলাকায় জমায়েত করেন। সেখানে বিষ্ণুপুর - সোনামুখি সড়ক অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরফলে ওই সড়কে যান চ꧂লাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সোনামুখি থানার পুলিশ। সংঘের অভিযুক্ত দুই সিএসপি কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিরস্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তারপরও নিজেদের আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা। তাঁদের দাবি, প্রতারকদের শুধু শাস্তি নয় প্রতিটি সদস্যার কাঁধে অযথা চেপে বসা ঋণের বোঝা সরানোর ব্যাপারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
পুলিশের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা। এরপর খবর পেয়ে অবরোধস্থলে যান সোনামুখির বিডিও দেবলীনা সর্দার। তাঁকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে কোনোক্রমে বের করে এনে নিরাপদ জജায়গায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। বিডিওর দাবি, ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।