বৃহস্পতিবার রেড রোডের দুর্ঘটনায় কেড়ে নিয়েছে তরতাজা এক পুলিশ কর্মীর প্রাণ। মৃত পুলিশ কর্মীর বাড়ি ঝাড়গ্রামের শালবনিতে। টিভি দেখেই প্রথম দুর্ঘটনার খবর পান মৃ൩ত পুলিশ কর্মীর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত টিভির ক্যামেরায় ভাঙা💎 বাইকের ওপর লেখা ‘আদি’ নামটা দেখেই যা বোঝার বুঝে যান বিবেকানন্দ ডাবের পরিবার। পুলিশ কর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
এদিন রেড রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে হাওড়া–মেটিয়াবুজ রুটের একটি মিনিবাস। বাসের তলায় চাপা পড়ে যান বাইকে থাকা এক পুলিশ কর্মী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটি প্রকাশ্যে আসে। ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে সরিয়ে আহত পুলিশ কর্মীকে বের করে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম বিবেকানন্দ ডাব। বিবেকানন্দের পরিবার সূত্রে খবর, এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথম দুর্ঘটনার খবরটি পান বিবেকানন্দের খুড়তুতো ভাই পবিত্র। তিনি জানান, টিভি থেকেই প্রথমে খবরটা পাই। ওর একটা হাত বের করা ছিল। বাইকে উপর আদি নামটা দেখতে পাই। তখনই বুকের ভিতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল। আসল൲ে ওর ৭ বছরের একটি ছেলে আছে। ছেলের নাম আদি। তখনই বুঝতে পারি, কিছু একটা ঘটেছে। পবিত্র আরও জানান, 'কাকু–কাকিমার দিকে আর তাকাতে পারছি না। ওরা খুব ভেঙে পড়েছেন। কী যে করবেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।' আচমকা ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার।|
বিবেকানন্দের গ্রামেও খুব ❀সুনাম ছিল। জামবনির চিচিড়া গ্রামের মানুষেরা সকলেই তাঁকে খুবই ভালবাসতেন। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন ওই পুলিশকর্মী। এমনটা যে ঘটে যাবে, কেউ ধারণাই করতে পারেনি। ছোটোবেলার বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে নিতান্তই মনমরা হয়ে পড়েছেন সুদীপ রানা। তিনি জানান, চাকরিসূত্রে 🐎বাইরে চলে গেলেও গ্রামে এলেই তাঁর সঙ্গে দেখা হত। বন্ধুর এভাবে চলে যাওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।