ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরি করেছিল ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। আর সেই করিডরের মাধ্যমে যাতায়াত করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল ꦏতারা। ৭ মাস আগে নদিয়া থেকে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তার’কে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুর্শিদাবাদ থেকে আরও দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের নাম হল মন্টু মꦛল্লিক এবং প্রতীক ভৌমিক। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সুতিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
আরও পড়ুন: ‘পরের বুলেট তৈরি আছে’, ভাতার হাসপꦗাতালের এক চিকিৎসককে মাওবাদীদেꦿর হুমকি চিঠি
ধৃতদের মধ্যে মন্টু মল্লিক দক্ষিণ কলকাতার শরশুনা এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে, প্রতীক ভৌমিকের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। তাদের কাছ থেকে একটি ৭.৬২ পিস্তল ও ৬টি কার্তুজ হয়েছে। তাদের ওপর বেশ কয়েকদিন ধরেই নজর রাখছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। তাদের মোবাইলের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে তারা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে একটি গোপন ডেরায় হানা দিয়ে ওই দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করে এসটি🏅এফ। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে একটি বাইক এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। এসটিএফ জানতে পেরেছে, এই দুজন ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন ধরনের মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতদের রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে নদিয়া জেলার বার্নিয়া গ্রাম থেকে প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তিনি ঝাড়খণ্ড পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড ছিলেন। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১ লক্ষ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল এসটিএফ। তাকে গ্রেপ্তার 🐟করার পরে এসটিএফ জানতে পারে যে মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে মাওবাদীরা করিডর তৈরি করছে। সেই করিডরের মাধ্যমে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মাওবাদীরা। তাকে জেরা করে ওই দুজনের নাম জানতে পারে এসটিএফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই করিডর ধরে অন্তত ১৫ জন মাও নেতা বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে এসটিএফ। জানা গিয়েছে, প্রদীপ মণ্ডল দীর্ঘদিন বিহার–ঝাড়খণ্ড মাওবাদী সামরিক কমিশনের সদস্য ছিলেন। রবিবার দুই ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাদের পক্ষে প্রথমে অবশ্য কোনও আইনজীবী দꦓাঁড়াতে চাননি। পরে লিগাল এড ডিফেন্স কাউন্সিল থেকে এক আইনজীবী দাঁড়ান।