বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই পাথর ছোড়া হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারতের 🔜একটি কামরা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তা♕র জেরে ওই কোচের দরজার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে।
আজ নিউ জলপাইগুড়ি যে হাওড়ার দিকে যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাচ্ছিল, সেট🎃ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। প্রাথমিকভাবে খবর, বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিট ๊নাগাদ কুমারগঞ্জ স্টেশনের কাছে বন্দে ভারতের সি-১৩ কোচে পাথর এসে পড়ে। যা ট্রেনের শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় কামরা ছিল। তার জেরে ওই বগির দরজার কাঁচ ভেঙে যায়। চূড়ান্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে কোনও যাত্রী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর মেলেনি।
রেল সূত্রে খবর, সেই ঘটনার পর নির্ধারিত স্টপেজ মেনে মালদা টাউনে দাঁড়ায় নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তুꦕ যাত্রী পরিষেবা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই কে বা কারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই কারণ খুঁজে বের করไার চেষ্টা করছে রেল। ইচ্ছাকৃতভাবেই বন্দে ভারতকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে রেল।
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, 'কারা (পাথর) ছুড়েছে, সেটা ♏তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একটা পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। মালদা স্টেশনে ঢোকার ২০-২৫ কিমি আগে (উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনস্থ এলাকা) ঘটনাটি ঘটেছে। (পাথর ছোড়ার ঘটনা) একটা সামাজিক ব্যাধি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। এটা নিয়ে আমরা সচেতন করি। বিভিন্ন কর্মসূচি করা হয়। তাতে অনেকটা কমেছে। কিন্তু আজ আবার হল। এটা দেখতে হবে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
এমনিতে চলন্ত ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সেই ঘটনা ঘটে। সেটা লোকাল ট্রেন হোক বা এক্সপ্রেস ট্রেন - পাথরবৃষ্টি থেকে রেহাই মেলে না। এবার বন্দে ভারতকেও লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এবং দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। একাংশের দাবি, শুধু বন্দে ভারত নღয়, আজ আরও একটি ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করඣা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার কী হবে?
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। সপ্তাহে ছ'দিন হাওড়া থেকে যে বন্দে ভারত ছাড়ে, তা দুপুরে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায়। সেই ট্রেনই আবার দুপুর তিনটে নাগাদ সেই ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়ে। তারপর রাতে হাওড়ায় পৌঁছে সেই ট্রেনই পরদিন সকালে রওনা দেয়। ফলে এত দ্রুত কাঁচ সারানো যাবে কিনা, তা নিয়🐲ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।