কৃষ্ণনগরে নিহত তরুণীর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকদের দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ লিখিয়ে এনেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরে নিহত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরিবারকে সব রকম আইনি সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা যেটুকু দেখেছি, শুনেছি বা সবাই বলছে, এটা স্পষ্ট খুনের ঘটনা। শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। এই লোকটা খুব সরল। এদের কোনও প্রভাবও নেই, রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্কও নেই। এদেরকে এখানকার আইসি ও পুলিশ মিথ্যা কথা বলে দাহ করিয়ে দিয়েছে। আমি যতটুকু জানি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তারদের দিয়ে আত্মহত্যা বলে লিখিয়ে এনেছে। পরিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। আমি ওনাদের আইনজীবীকে বলেছি, আমরা সিনিয়র আইনজীবীদের পাঠাব। পরিবারের সঙ্গে ওনারা কথা বলুন। ওনারা যে ধরণের আইনি লড়াই করতে চান আমরা সহযোগিতা করব।’বৃহস্পতিবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরাও। ময়নাতদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। এর পর দেহ সংরক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সেই রাতেই নবদ্বীপ শ্মশানে তরুণীদের দেহের সৎকার হয়।পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তরুণীর দেহ আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে সেই আগুন তরুণী নিজে লাগিয়েছিলেন না কি কেউ তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।