তৃণমূলি পুরপ্রধানের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সকালে এই ছবি দেখা গেল মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মোড়ে। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার মঞ্চে বাম নেতার আবির্ভাবে রাজনৈতিক সমীꩵকরণ কষতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। 🤡তার আগে তৃণমূল নেতা - নেত্রীদের সঙ্গে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজনবাবু বলেন, এটা আমাদের জন্য খুব দুঃখের ব্যাপার। ২৩ জানুয়ারি সাদা দেশের জন্য দেশপ্রেমিক দিবস হিসাবে যে ভাবে পালিত হওয়া উচিত আমাদের দেশের সরকার তা কখনও করেনি। নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস হিস♛াবে ঘোষণা করে গোটা দেশে ছুটি দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু যারা দেশপ্রেমের মানে বোঝে না তারা ঘোষণাও করতে পারে না। সেই কারণে জাতীয় ছুটি আজ পর্যন্ত ঘোষণা করেনি। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি যারা জাতীয় ছুটি বলে ঘোষণা করতে পারে না তারা ২২ জানুয়ারিকে অর্ধদিবস ছুটি বলে ঘোষণা করে। এটার থেকে দুঃখের কথা আর কী হতে পারে?
এই নিয়ে পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা পৌরসভার পক্ষဣ থেকে মাল্যদান করছিলাম ঠিক সেই সময় সিপিএম নেতা স𒉰ুজন চক্রবর্তী এখানে আসেন আমরা তাকেও আমন্ত্রণ জানাই মাল্যদান করতে এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
এদিনের ইংরাজবাজার শহরের এই অনুষ্ঠানে যোগদান করে বিভিন্ন স্কুল ও অরাজনৈতিক সংগঠন। বামেদের তরফেও নেত♊াজির জন্মদিন উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে রাজ্যে সিপিএমের অন্যতম মুখ বলে পরিচিত সুজনবাবুর আবির্ভাবে বাম – তৃণমূল আঁতাতেꦍর অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সিপিএমের নীচু তলার কর্মীরা যখন মার খাচ্ছেন তখন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে তৃণমূলের মঞ্চে উঠে পড়ছেন সিপিএম নেতা। আসলে রাম মন্দির উদ্বোধনের পর বিজেপিকে যে রাজ্যে আর রোখা যাবে না তা বুঝতে পেরে গিয়েছে এরা।