নতুন বছর ২০২৪ পড়েছে। আজ প্রথম দিন এই বছরের। আর এই দিনটিতে মেতে উঠতে নানা জায়গায় পৌঁছে যান মানুষজন। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে সেটাই দস্তুর। তাই বছরের প্রথমদিন ভিড় বেড়েছে সুন্দরবনে। লঞ্চে করে পিকনিকে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে অনে🐠ককജেই। কিন্তু এই সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুব আনন্দদায়ক হল না পর্যটকদের। বরং চরম নাকাল হতে হল পর্যটকদের। লাইসেন্স না পাওয়ার প্রতিবাদে নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারি সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চ পরিষেবা। তাতেই আটকে পড়েন পর্যটকরা।
এদিকে সজনেখালি বা পাখিরালয়ে সময় কাটানোর পরিকল্পনা নিয়েই সকালে বেরিয়ে পড়েছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল না। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। শীতের মরশুমে ইউনেস্কোর এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে দেশ– বিদেশ থেকে পর্যটকরা এসে থাকেন। সেখানে এমন সমস্যা দেখা দিলে বাংলার ভাবমূর্তি মোটেই ভাল জায়গায় থাকে না। আজই বোট মালিকদের বিক্ষোভে নাকাল হতে হল পর্যটকদের। যার জে൲রে চরম হয়রানি হতে হয় পর্যটকদের। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয় হোটেলে। জলের মধ্যেও আটকে পড়েন অনেকে।
অন্যদিকে সুন্দরবনে শতাধিক জলযানের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। আর তাই নতুন বছরের প্রথমেই হয়রানির শিকার হন সুন্দরবনে আসা পর্যটকরা। এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন পাখিরালয়–সহ একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে। এখন সুন্দরবনে ব্যবসার পিক সিজন। সু🗹ন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ সোমবার সকাল থেকে সমস্ত জলযান বন্ধ রাখা হয়েছে। সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পাওয়ার দাবিতে এই প্রতিবাদ।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির অভিষেক–ফ🍸িরহাদ, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে দাড়ি পড়বে?
এছাড়া সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহে দু’দিন করে বোটের লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরি꧃ষদ এই কাজটি করে। কিন্তু প্রশাসনের ঢিলেমিতে এবার সেই কাজই হল না। যার জেরে বহু বোটের লাইসেন্স রিনিউ করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পড়ে প্রতিবাদের পথেই হেঁটেছে সংগঠন। আজ সকাল থেকে সুন্দরবনে জলযান পরিষেবা বন্ধ করেন বোটমালিকরা। টানা দু’ঘণ্টা জলযান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। তবে পরে ছাড়লেও লাইসেন্স না থাকায় নদীতে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু জঙ্গলের গভীরে যেতে পারবে না বোট।