বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে অন্য রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করানোর ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, যেহেতু সিবিআই হেফাজতে লালন শেখে🦩র মৃত্যু হয়েছিল। তাই সিবিআইকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করার পক্ষে নয় সুপ্রিম কোর্ট। সে ইঙ্গিতও দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘সবেতেই রাজনীতি ঢুকেছে।’ মামলায় উভয়পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: লালন শেখের বাড়িতে ডিআইজি–সিআইডি, কী জিজ্ঞাসা করা হল রেশ𝕴মা বিবিকে?
এদিন মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু অন্য কোনও সংস্থা দিয়ে তদন্তের আর্জি জানান। যদিও তিনি সিবিআইয়ের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি যুক্তি দেন, এই মৃত্যু কাস্টডিয়াল ডেথ নয়। বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটা ডেথ ইন কাস্টডি। এই মামলায় কাঠগড়ায় রয়েছে খোদ সিবিআই। ফলে সিবিআই যেখানে অভিযুক্ত সেক্ষেত্রে অন্য কꩲোনও সংস্থা দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। পরে প্রয়োজনে ওড়িশার মতো ভিন রাজ্যের উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাকে সিটে রাখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখ। এর পরেই বগটুই গ্রামে একের পর এক পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। সেই ঘটনায় দশজনের মৃত্যু। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পরে তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে ঝাড়খণ্ড থেকে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিকে, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালন শেখের। সিবিআইয়ের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তবে পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এর পরেই সিআইডি এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। যদিও লালন শেখের স্ত্রীর অভিযোগ ছ🏅িল, তাঁর স্বামীকে মৃত্যুর আগে অত্যাচার চালানো হয়েছিল। তাঁর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকী তাঁর জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। যদিও ময়নাতদন্ত🍨ের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়, গলায় দড়ি দিয়ে মৃত্যু হয়েছিল লালনের।