পুলিশি তদন্তে কোথায় গলদ বা ফাঁক আছে? কেন পুলিশি তদন্ত নিরপেক্ষ নয় বলে মনে হচ্ছে? কোনও মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আগে হাইকোর্টকে অবশ্যই সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (জিটিএ) শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্🍒রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, সংবিধানের ২২৬ ধারার আওতায় কোনও ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও 'খুব বিরল মামলায়' কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত হাইকোর্টের।
পাহাড়ের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
পাহাড়ের স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলায় সিবিআℱই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালে সেই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। সেই মামলার শুনানির সময় গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টে দুটি বেনামি চিঠি এসেছিল। তারপরই সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে পুলিশ কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে।
রাজ্যের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই দুটি চিঠির সত্যতা নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করেছিল। তবে সেই যুক্তি ꦏধোপে টেকেনি। বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বে𒅌ঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল রেখেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের রায় খারিজের কারণ ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টের
যদিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কী কারণে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাও ব্যাখ্যা করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি গভাই এবং বিচারপতি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী কোনও মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে পারে হাইকোর্ট। ক𝓡িন্তু সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হাইকোর্টকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে কেন রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই। রাজ্য পুলিশের তদন্তে কোথায় গলদ আছে, পুলিশের তদন্ত কেন নিরপেক্ষ নয় বলে মনে করছে হাইকোর্ট, সেটা ব্যাখ্যা করতে হবে।
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, 'খুব বিরল মামলায়' সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দ✃েওয়া উচিত হাইকোর্টের। কিন্তু হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে বলা হয়নি যে কেন রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়াকে উপযুক্ত বলে মনেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ করা হচ্ছে। ঠিক একই কারণে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশও আইনে গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে আইন মেনে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনা♐নি করতে হবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চকে।