তিনি সশরীরের নেই। তবু তিনি আছেন। কর্মীদের মনের মধ্যে। সোমবার দোলের দিন তারই নমুনা দেখল সিউড়ি। গরুপাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি তৃণমূল নেতা একদা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল✤। তাঁর গ্রেফতারের পর দেখতে দেখতে দুবছর হতে চলল। সামনের আগস্টে দুবছর হবে। তবু কর্মীরা তাঁকে ভুলে জাননি। অনুব্রতর কাটআউটে আবীর দিয়ে তৃৃণমূল কর্মীরা আবীর খেলা শুরু করলেন সোমবার।
♎এদিন সকালে জেলা পার্টি অফিসে হাজির হন সিউড়ি শহর মহিলা জেলা কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁরা অনুব্রতর কাটআউটের পায়ে সবুজ আবীর মাখিয়ে দোল খেলা শুরু করেন। মহিলা অনুগামীদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল যুবকর্মীরাও। তাঁরাও অনুব্রত গালে ও পায়ে আবির মাখান। তার পর অন্যান্যদের আবীর মাখানো হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এবং অন্যান্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
▨প্রসঙ্গত, ব্রিগেড থেকে প্রা্র্থী ঘোষণার পর, বীরভূমের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের পক্ষো ভোটে চেয়ে বিভিন্ন জায়গা ব্যানার হোডি়ং লাগানো হয়। সেই ব্যানার- হোডিং-এ দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের ছবি থাকলেও ছিল না অনুব্রতর ছবি। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। জেলা কার্যালয়ের উপরে ব্যানার থাকলেও তাতে অনুব্রতর ছবি ছিল না। তড়িঘড়ি সেখানে কাটআউট লাগানো হয়। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউটের পাশে লাগানো হয় অনুব্রতের কাটআউট।
🌊এ প্রসঙ্গে বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘বীরভূমে জেলার এমন কোনও ব্লক নেই যেখানে অনুব্রতর ছবি নেই। অনুব্রত মণ্ডল আছেন সব কর্মীর মধ্যে, সবার মনের মধ্যে। অনুব্রত ছাড়া বীরভূম ভাবাই যায় না। তিনি যেখানেই থাকুক। তিনি আছেন বলেই কর্মীরা এত উৎসাহী। ’
𒀰লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে দলীয় কর্মসূচিতে বীরভূমের সিউড়িতে আসেন সুব্রত বক্সী। তিনি তাঁর বক্তব্যে অনুব্রতের প্রসঙ্গ তোলনে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলেন, 'বীরভূমে এসে প্রথমে যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামী সাথী কেষ্ট মন্ডল। বীরভূমের মানুষ তাঁকে চেনেন। তাঁর সাংগঠনিক শক্তি অফুরন্ত। তাঁর চেয়েও বড় কথা, কেষ্টকে যাঁরা দেখেছেন চিনেছেন, আমি তাঁদের থেকে বেশি করে কেষ্টকে চিনি, কারণ আমি তাঁকে ভালোবাসি। আমরা এখানে যারা একত্র হয়েছি। মনে রাখবেন আমাদের মাথার উপর কেষ্ট আছে। আমি আপনাদের বলব, যে সঙ্গবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যে বীরভূম জেলা শক্তিশালী হয়েছে, নিশ্চিত ভাবে আমি এর জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাব।’
💝এর আগে গত ফ্রেরুয়ারি মাসে বীরভূমে যান তৃণমূলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্মরণ করেন কেষ্টকে। মমতা বলেন, ‘কেষ্টকে এতদিন জেলে পুরে রেখেছে, কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে দূর করতে পারেনি। আমি তো আসতে আসতে দেখছিলাম ম্য়াক্সিমাম ইয়ং জেনারেশন ওর কথা বলছে। আমি শিখিয়ে দিইনি। আমি মানুষের রেসপন্সটা দেখছিলাম।’