বিজেপিতে যোগদানের পর ঝাড়গ্রামে পা রেখেই নাম না করে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস মাঠে দলীয় সভা থেকে নাম না করে ছত্রধরের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, বিচ্ছিন্নবাদীদের সুযোগ দেবেন না। এদিন ছত্রধর বলেন, ‘এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ কে? ১০ বছর জেলে ছিলেন যিনি। আপনাদের মনে নেই? জোর করে মিছিলে হাঁটাতো। জনসাধারণের কমিটি অত্যাচার করেনি? ঝাড়গ্রাম শহরকে ৩৭ দিন বন্ধ রেখেছিল’। ছত্রধরের জনসমর্থন নেই বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘ওর সঙ্গে লোক নেই। ২০০১ সালে ঝুড়ি চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাড়ে ১৫ হাজার মাত্র ভোট পেয়েছিল। ভয় একদম পাবেন না’।এমনকী ছত্রধরের বিরুদ্ধে গুছিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। বলেন, ‘ঘরে সাবমারর্সিবল পাম্প বসিয়ে নিয়েছে সরকারি টাকায়। দোতলা পাকা বাড়ি করেছে সরকারি টাকায়। একটা ছেলেকে পুলিশের ইনফরমারে ঢুকিয়েছে। আরেকটাকে দিয়েছিল আমার ঘাড়ে। লালগড়ের বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে ঢুকিয়ে রাখতে হয়েছে। ওই নবান্নর নির্দেশ। আমরা তো কর্মচারী ছিলাম’। সঙ্গে তাঁর আহ্বান, ‘আজকে আপনাদের বলি, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী লোকগুলোকে একদম সুযোগ দেবেন না। আদিবাসীদের স্বার্থ যদি কেউ রক্ষা করে থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি করেছে’।বাম জমানার শেষ দিকে মাওবাদীদের মদতে জঙ্গলমহলে তৈরি হয় জনসাধারণের কমিটি। ২০০৯ সালে শালবনিদের জিন্দালদের কারখানার শিলান্যাস করে ফেরার পথে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সেই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন ছত্রধর। বরাবরই জনসধারণের কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করে এসেছে বামেরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে হামলার পর ছত্রধরকে দেশদ্রোহিতার মামলায় জেলে ভরে বাম সরকার। ১০ বছরের কারাবাসের পর গত বছর তাঁকে মুক্তি দেয় তৃণমূল সরকার। এর পর তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পান তিনি। বাম ও বিজেপির দাবি, জঙ্গলমহলের দখল ফিরে পেতে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।