নিম্নচাপের ফ🧜াঁড়া কাটলেও চিন্তা কমছে না রাজ্যের আলুচাষিদের। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বহু চাষের জমি জলের তলায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আলুচাষিরা। চাষে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কায় সোমবারই আত্মহত্যা করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক আলুচাষি। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য চাষিরা আগেই সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। এবার আলুচাষিদের পক্ষে সওয়াল করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আলুচাষিদের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এই এলাকায় এরকম কোনওদিন হয়নি। টানা বৃষ্টিতে সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বহু আলুচাষি। তাই𒀰 আলুচাষিদের কথা ভেবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। '
তাঁর অভিযোগ, 'দুর্গাপুজোর জন্য রাজ্য সরকার যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, সেখানে আলুচাষিরাও যাতে নতুন বীজ কিনে পুনরায় চাষ করতে পারে সেই সুযোগ সরকারকে করে দিতে হবে। এর পাশাপাশি কৃষি ঋণ মকুব করারও দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, 'মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের কৃষি ঋণ মকুব করে দিয়েছে। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর ,পূ🐼র্ব বর্ধমান ,বাঁকুড়া এবং হুগলি জেলার চাষিদেরও কৃষি ঋণ মকুব করে দিতে হবে।'
উল্লেখ্য, ইয়াসের সময় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ধানচাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সেই বিপদ কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আলু চাষ করার কথা ভেবেছিলেন কৃষকরা। তাদের ধারণা ছিল আলু চাষ করলে হয়তো দুর্বিষহ অবস্থা কিছুটা কাটানো সম্ভব হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙ্ক এবং সমবায় সমিতি থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন বহু কৃষক। তবে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে রাজ্যের বহু চাষের জমি। সাধারণত 🍬আলু চাষে জল কম লাগে। কিন্তু নিম্নচাপের ফলে জল থৈ থৈ অবস্থা জমিতে। জমি থেকে জল কিভাবে বের করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা। আলু গাছ পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। আলুর পাশাপাশি শীতকালীন সবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের।