স্কুলের ল্যাবরেটরিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল। ঘটনার জেরে শিক্ষক ছাত্রীসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার টাকি ষষ্ঠীচরণ নীলমাধব বালিকা বিদ্যালয়ে। যদিও এই বিস্ফোরণ বোমা ফেটে নয়, স্কুলের ল্যাবরেটরিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের জারে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আহতদের টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাসের জারে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই𒁏 ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
আরও পড়ুন: তীব্র বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বীরভূমের গ্রামের বাড়ি, আতঙ্কে বেরচ্ছেন 🔴না মানুষজন
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন স্কুলে ক্লাস চলছিল। আজ দুপুর ১ টা নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ল্যাবরেটরিতে ক্লাস হচ্ছিল। সেই সময় অ্যামোনিয়া গ্যাস♑ের জার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রীরা জানান, কেমিস্ট্রির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চলছিল। অ্যামোনিয়া জার সিল করা ছিল। সেটি খোলার জন্য স্কুলে কোনও ওপেনার ছিল না। তাই কেমিস্ট্রির শিক্ষক অর্ণব গুহ কোনও কিছুর সাহায্যে সেই জার খোলার চেষ্টা করেন। সেটি খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক যেহেতু অ্যামোনিয়া জারের বেশি কাছে ছিলেন তাই তিনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁর চোখ ও মুখের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও, একজন ছাত্র🐻ীর চোখে আঘাত লেগেছে। ছাত্রীদের কথায়, বিস্ফোরণের পরে গোটা ল্যাবরেটরি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে যায়। যার ফলে সেখানে অবস্থিত বেশ কয়েকজনের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কোনওভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসলে তারা রক্ষা পায়।
এই ঘটনার পরেই খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে যান অভিভাবকরা। তাঁরা ল্যাবরেটরিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অভিভাবকদের বক্তব্য, যে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছিল সেটি এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছে নাকি ভালো✱ ছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত। এক অভিভাবক জানান, এই ঘটনায় শিক্ষক বেশি আহত হয়েছেন। তাঁর বেশ কয়েক জায়গায় পড়ে গিয়েছে। অভিভাবকদের আশঙ্কা, এই বিস্ফোরণের ফলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই তাঁরা চাইছেন♛ ল্যাবরেটরির সেফটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন আছে।
এদিন এই ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি শিক্ষক এবং ছাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনের শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারাও বুঝে উঠতে পারছে না কীভাবে ঘটনাটি ঘটল? বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপ💧ক্ষ। প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন এই ল্যাবরেটরি না খোলার কারণেই অ্যামোনিয়া গ্যাসে বিস্ফোরণ হয়েছে। এই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীরা।