সরকারের পক্ষ থেকে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু সেই সরকারি জমিতে থাকা গাছের কাঠ কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে কেউ বা কারা। তার জেরে গাছের কোনও অস্তিত্ব থাকছে না। নির্বিচারে সেইসব গাছ কেটে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন পরিবেশবিদরা। প্রত্যেক বছর গাছ লাগানোর জন্য বন দফতরের পক্ষ থেꦰকে অরণ্য সপ্তাহও পালন করা হয়। অথচ সেই গাছের কাঠ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে!
এমন ঘটনায় প্রশাসনও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে? কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, সরকারি জমিতে থাকা সেগুন গাছের কাঠ ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। আর গাছগুলি মরে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সরকারি জমি থেকেই রাতের অন্ধকারে বিপুল পরিমাণে সেগুন গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকে⭕ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাড়তি টাকার লোভে শুধু মুল্যবান সেগুন গাছগুলি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর তাদের ধরাও যাচ্ছে না।
তারপর ঠিক কী ঘটছে? ধূপগুড়ির কদমতলা থেকে জলঢাকা বিস্তীর্ণ এলাไকা জুড়ে চুরি হয়ে যাচ্ছে সেগুন গাছ এবং তার কাঠ। প্রথমে এই বিষয়টি নজরে পড়েনি সকলের। কারণ তখন দু’ধারে তবু গাছ দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, পাঁচ কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তার দু’দিকে থাকা মূল্যবান একাধিক সেগুন গাছ কেটে কেউ নিয়ে গিয়েছে। ফলে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ওই রাস্তার ধারের বিস্তীর্ণ অংশ। এটা নজরে আসতেই তলিয়ে দেখা হয়। তখন অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ ওই এলাকার বহু সেগুন গাছ, কাঠ চুরি করে সাফ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: জেলের কু🅰ঠুরিতে শুয়ে রাত কাটালেন রাজ্যের বনম💎ন্ত্রী, প্রথম নিশিযাপন কেমন কাটল?
ঠিক কে, কি বলছেন? এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দল বিজেপি সরাসরি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দোষ চাপিয়েছে। আবার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিজেপির স্থানীয় নেতা চন্দন দত্ত অভিযোগ করেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতার মদতেই সরকারি জমি থেকে সেগুন গাছ চুরি হয়ে ꧃যাচ্ছে। গরু, কয়লা, চাকরি, রেশনের পর এবার চুরি হচ্ছে বহু মূল্যবান সেগুন গাছ।’ পাল্টা এই বিষয়ে বিজেপির অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ফনীন্দ্রনাথ রায়। তাঁর কথায়, ‘কিছু দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে সরকারি জমি থেকে মূল্যবান সেগুন গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগের অভিযোগ সঠিক নয়। আসলে বিজেপি রাজনীতি করতেই এসব বলছে।’