তিস্তার জল রাস্তায় উঠে পড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল যান চলাচল। শুক্রবার তিস্তার জল রাস্তায় উঠে পড়লে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর ফলে সিকিম তো বটেই ওই পথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কালিম্প🌜ং শহরও। গরুবাথান দিয়ে চলাচল করছ💎ে কালিম্পংয়ের গাড়ি।
আরও পড়ুন - প্রাথমিক দুর্নীতি🌳র ৩০ কোটি টাকা ঢুকেছে প্রভাবশালীর কোম্পানিতে,🔴 আদালতকে জানাল CBI
পড়তে থাকুন - ‘🅠সন্দেশখালির কালি মুছতে….’ ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ মালব্যর
সিকিম ও কালিম্পং জেলায় প্রবল বর্ষণের জ🌊েরে গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বাড়ছে তিস্তার জল। উত্তর সিকিমে একাধিক জায়গা ধসে বিধ্বস্ত। কালিম্পংয়েক জেলাশাসক শ্রী বালসুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘বর্তমানে তিস্তা ভয়ংকর গতিতে প্লাবিত হচ্ছে। সিকিমের সব বাঁধ খুলে দেওয়ায় বৃষ্টির জল সরাসরি তিস্তা দিয়ে এরাজ্য প্রবেশ করছে। যার দরুন অল্প বৃষ্টিতে তিস্তার জল দ্রুত বেড়ে উঠছে। সেই কারনে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিছু যানবাহনকে ঘুর পথে লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়া আসার কথা বলা হয়েছে।
ওদিকে এখনও গ্যাংটকে দেড় হাজারের বেশি বাঙালি পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের ঘুর পথে সমতলে নামানোর চেষ্টা করছে সেখানকার প্রশাসন। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় থমকে যাচ্ছে সেই চেষ্টা। বিপর্যস্ত সিকিমকে স্বাভাবিক করতে﷽ নামানো হয়েছে ভারতীয় সেনা।
সিকিম পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সমতলে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। জল ঢুকতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম𓆉ে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে ইতিমধ্যে নদী বাঁধের উপরে প্লাস্টিকের অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছে। রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সজাগ রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন নদী পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে স্থানীয়দের। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, হেল্পলাইন নাম্বার। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন - ফ্যাসিবাদের চরম, রাজভবনে ঢুকতে বাধা পেয়ে বললেন শুভেন্দু, 🐽স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব রা🐈জ্যপালের
জলমগ্ন পরিবারগুলির পাশে ইতিমধ্যে দাঁড়িয়েছে ক্রান্তি ব্লক প্রশাসন সহ এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বন্যার জলে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সিকিম পাহাড়ে একটানা বৃষ্টির ফলে শুধু তিস্তা নয়, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অন্য পাহাড়ি নদীগ🍒ুলিও। সেই জলে জলপাইগুড়ি জেলায় বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার কিছুটা জল নামতে শুরু করলেও রাতে আরো বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ভয়া𒐪বহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।