নোদ🐟াখালিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের অপহৃত ছেলের খোঁজ পাওয়া গেল উড়িষ্যার পুরীতে। এমনই দাবি করেছেন কৌশিক খাঁড়া নামে বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্য। তবে কে বা কারা ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিল তা বলতে পারেননি তিনি। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বিজেপির দাবি, এর পিছনে তৃণমূলের হাত আছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ
গত ১ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল কৌশিকবাবুর ১০ বছরের শিশুপুত্র। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির শেখ ও তাঁর সহযোগী বুচানের অনুমতি আনতে বলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ৫ দিন পর অভিযোগ নেয় পুলিশ। তার পরও বুচান না বললে পুলিশ পদক্ষেপ করবে না বল🦋ে 🐼জানায় তারা।
বুধবার কৌশিকবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এই অন্তর্ধানের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে জানান তিনি। অভিযোগ করেন, ছেলেকে ফিরে পেতে তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করতে হবে মা-কে। এমনকী নোদাখালির সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের আরও এক বিজেপি নেতা একই ধরণের হুমকি পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলে অচেনা নম্বর থেকে ফোনে হুমকি দ𝔉েওয়া﷽ হয়েছে বলে দাবি।
কৌশিকবাবুর ছেলেকে খুঁজে পেতে বুধবারই কলকাতﷺা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিতে ✱দায়ের হয় আবেদন।
ফোনের সূত্রে উদ্ধার
কৌশিক খাঁড়ার দাবিꦍ, রাতে অচেনাღ নম্বর থেকে একটি ফোন আসে ছেলের এক দিদিমণির কাছে। জানানো হয়, ছেলে রয়েছে উড়িষ্যার পুরীতে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ছেলেকে আনতে ছোকেন স্বামী - স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন এক বিজেপি নেতা। সেখানে ছেলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কৌশিকবাবুর দাবি, ছেলে জানিয়েছে, ‘তিনটে কাকু ঘুরতে নিয়ে যাবি বলে নি♌য়ে এসেছিল। রেখেছিল ঝুপড়িতে। আর খেতে দিয়েছিল পাঁউরুটি🍎।’
এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ খণ্ডন করে বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, পুলিশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হচ্ছ🎐ে।
কী করে ছেলে উড়িষ্যা পৌঁছল আর কেই বা তার খবর ফোন করে দিল তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শঙ্কুদেববাবুর দাবি, ‘আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত এর পিছনে তৃণমূল আছে। তৃণম📖ূꦛল এখন শিশুটিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাপ দিচ্ছে। শিশুটি আতঙ্কিত। আমরা বিষয়টি শিশু সুরক্ষা কমিশনে জানাচ্ছি’।