কোচবিহারে বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের হাতে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার মুসলিম মহিলা রমণীর বয়ান অবশেষে রেকর্ড করল পুলিশও। শনিবার ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহারে যায় বিজেপি প্রতিনিধিদল। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবার রাতে কোচবিহারে পৌঁছয় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। এর পরই কার্যত বাধ্য হয়ে মহিলার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।
আরও পড়ুন - বেল🐟ঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় বিহার থেকে গ্রেফতার ৩
পড়তে থাকুন - কলকাতায় ফের 🅰মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু, ৩ জনকে গ্রে𒀰ফতার করল পুলিশ
রবিবার সকালে জেলা বিজেপির নেতা বিরাজ বসু ও দীপা চক্রবর্তী🎉র নির্যাতিতাকে কোতয়ালি মহিলা থানায় নিয়ে যান। সেখানে মহিলা পুলিশ আধিকারিকরা🌊 গত ২৫ জুনের ঘটনার বয়ান রেকর্ড করেন। বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষে থানা থেকে বেরিয়ে কোচবিহারে দলীয় পার্টি অফিসে আশ্রয় নেন নির্যাতিতা।
এর পর বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজবাবু বলেন, ‘৫ দিন ধরে তৃণমূলের হাতের তামাক খেয়ে পুলিশ ঘুমিয়ে ছিল। জাতীয় মহিলা কমিশন এসে পৌঁছতেই ওদের টনক নড়েছে। এবার পদক্ষেপ না করলে তো আদালতে চড় চাপড় খেতে হবে। তাই মুখরক্ষা করতে মহিলার বয়ানটুকু রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও তৃণমূলকে বাঁচাতে মরিয়া। ওরা ꦆতো এখনও সেজন্যই বেতন পায়।’
অভিযোগ গত ২৫ জুন কাজ থেকে ফেরার সময় ‘মুসলিম হয়েও বিজেপি করার অপরাধে’ এক মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে প্রথমে ১ কিলোমিটার ♓রাস্তা নিয়ে যান কয়েকজন মহিলা তৃণমূলকর্মী। এর পর মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। পোশাক ফেলে দেওয়া হয় পাশের নদীতে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঘোকসাডাঙা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান তেকে মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন মহিলা।
আরও পড়ুন - ভোট পরবর্তী হিংসার নামে ভুয়ো মামলা দায়ের, ১০ হাজার টাকা জরিম𒁏ানা করল হাইকোর্ট
এই ঘটনায় নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেন রাজ্য বিজেপি সভ🌃াপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বিবরণ শোনেন তাঁরা।