নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নেমে কাজ করছিলেন তিনজন শ্রমিক। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েই প্রাণ গেল তাঁদের। এই তিনজন শ্রমিকের মৃত্যুতে ব্যাপক আল💯োড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নদিয়ার ভীমপুরে। ভীমপুর থানার নতুন গ্রামে নতুন সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করতে গিযꦏ়ে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এখানের এক বাসিন্দার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করছিলেন তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, নতুন সেপট💝িক ট্যাঙ্কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে সেন্টারিংয়ের তক্তা খোলা হচ্ছিল। তখন ভিতরে শ্রমিকরা কাজ করছিল। প্রথমে একজন কাজ করতে নামলেও তাঁর কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এই দেখে দ্বিতীয়জন নামে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর। তারপর তাঁরও সাড়া মিলছিল না। তখন তৃতীয়জন শ্রমিক আর একজন নামে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে। তিনজনের কোনও সাড়া না মেলায় অন্য শ্রমিকরা চিৎকার করতে থাকেন। তখন প্রতিবেশীরা আসেন সেফটিক ট্যাঙ্ক ভাঙ্গার জন্য। যদিও কাউকে বাঁচানো যায়নি।
আর কী জানা যাচ্ছে? নদিয়ার ভীমপুর থানার নতুনপাড়া এলাকায় বা♔ড়ি দীপক বিশ্বাস নামে বাসিন🤪্দার। তাঁর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢালাইয়ের কাজ আগে হয়ে গিয়🌼েছিল। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে সেই ট্যাঙ্কের তক্তা খোলার কাজ করছিলেন তিনজন শ্রমিক। কিন্তু তিনজন না বেরিয়ে আসায় সন্দেহ হয় অন্যান্য শ্রমিকদের। ডাকাডাকি শুরু করে তাঁরা। সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা 🎃চেঁচামেচি শুরু করে। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। তাঁরা খবর দেয় স্থানীয় থানায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ সূত্রে খবর, ভীমপুর থানার ওসি তমাল তরু সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সঙ্গে তিনি জিসিবি মেশিন নিয়ে আসেন। জিসিবি দিয়ে ট্যাঙ্ক ভেঙ্গে তিনজনকে উদ্ধার করা হয় গর্ত থেকে। ভীমপুর থানার ওসির নেতৃত্বে সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে নিয꧂়ে আসা হয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। কৃষ্ণগঞ্জের কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ভীমপুর থানার নতুন পাড়ায় দীপক বিশ্বাসের বাড়িতে কাজ করছিলেন তাঁরা। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের নাম শুভেন্দু দে (২৮), সুমন বিশ্বাস (২৭), অমৃত বিশ্বাস (৩১)। সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের জেরেই এই তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। ꦫএবার HT App✃ বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup