শক্তিগড়ে অনুব্রত মণ্ডলের ব্রেকফাস্ট টেবিলে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্ꦯতিকে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা কথা হয়। কাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি? এই প্রশ্নই এখন বড় আকারে চর্চা হচ্ছে। অনুব্রতর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা ছিলেন অন্য টেবিলে। আগে থেকেই মিষ্টির দোকানে ছিলেন ওই তিন ব্যক্তি বলে সূত্রের খবর। রাখী পূর্ণিমার দিন গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর দোল পূর্ণিমার দিন দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে শক্তিগড়ে ল্যাংচা বিখ্যাত। ভোজনরসিক অনুব্রত মণ্ডল সেখানে পেটপুরে খেলেন জলখাবার। লুচি, ছোলার ডাল, তরকারি, মিষ্টি খান তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে টেবিলে ছিলেন আরও তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা যায় কেষ্টকে। এদের তিনি আগে থেকেই চেনেন বলে বোঝা যায়। তবে ম🧔ুখ ভার ছিল নেতার। সেই মেজাজ ছিল না চেহারায়। মুখ বেজার করে রেখেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, কেষ্টর সঙ্💖গে দেখা করতে আগেই শক্তিগড়ে আসেন তিন রহস্যময় ব্যক্তি। ওই তিন ব্যক্তি বীরভূম থেকে গাড়ি করে 🎃অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওই গাড়িটির নম্বর ডাব্লিউ বি ৪১ এইচ ০০০৭। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে পূর🅷্ব বর্ধমানের আরটিও অফিস থেকে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে গাড়ির তথ্য খুঁজতে গেলে সামনে আসছে মলয় পিটের নাম। এই মলয় পিটের শান্তিনিকেতনে মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। তাঁকেও আগে ইডি–সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল। তা🃏হলে কি কোনও তথ্য দিতেই এরা হাজির হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।
আজ, মঙ্গলবার এখানে অনুব্রত মণ্ডল আসতেই খাবার টেবিলের সামনের চেয়ারে বসেছিলেন গেঞ্জি পরা এক যুবক। আর অনুব্রতের ঠিক পাশে বসেছিলেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক যুবক। সবাই সবাইকে ౠচেনে বোঝা গেল। ওই যুবকই দোকানের বিল মেটান। অনুব্রতের পাতে চারটে কচুরি থাকলেও তিনি তিনটে খান। আর একটি কচুরি সবুজ পাঞ্জাবি পরা যুবককের পাতে তুলে দেন। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। আর দোকানের কর্মী শেখ আমরুল হক বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে চারটি কচুরি এবং ছোলার ডাল দেওয়া হয়েছিল। তার পর স্পেশাল ল্যাংচা এবং রাজভোগ। আমাদের দোকানে উনি আগেও খেয়েছেন। ঝালমুড়ি আর লাল চা খেতে ভালবাসেন। কিন্তু আজ আর চা খাননি।’