ইডি গ্রেফতার করেছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আর তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংগ𒆙ঠনে কি প্রভাব পড়বে? সাংগঠনিকভাবে অবিভক্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন জ্যোতিপ্রিয় 🦹মল্লিক। এখন তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। তাই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে কার হাতে ক্ষমতা যাবে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আবার যেসব কর্মী–সমর্থক মন থেকে ভেঙে পড়েছেন তাঁদের ভোকাল টনিক দিয়ে চাঙ্গা করতে হবে। কে এই কাজটি করবেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারে দলের সাংগঠনিক সমস্যা হবে না বলে দাবি করছে তৃণমূল। বনমন্ত্রীর গ্রেফতারে দলীয় সংগঠনে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছেন বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
একদা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সংগঠনের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। বারাসত থেকে দমদম, বনগাঁ থেকে বসিরহাট দাপিয়ে বেড়িয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় ওরফে ‘বালু’। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দু’বার গাইঘাটার ও ২০১১ সালে হাবড়া কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পরপর তিনবার হাবড়ার বিধায়ক। মন্ত্রী শোভনদেবের কথায়, ‘আঘাত যখন ব্যক্তিগত কারও উপর বর্ষায় তাঁর যন্ত্রꦫণা নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত বেশি। বালু আমাদের অত্যন্ত প্রিয় সহকর্মী। হাসিখুশি মানুষ। ও সত্যিই ভাল ছেলে। দীর্ঘদিনের সংগঠক। ওর শরীরও খারাপ। সুগার প্রায় পাঁচশো।’
ঠিক কে, কি বলছেন? জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই বিধায়ক কার্যালয়ে তালা পড়েছে। তবে হাবড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘সবটাই বিজেপির চক্রান্ত।’ হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস বলেন, ‘দাদা গ্রে🌜ফতার হওয়ায় আমি মর্মাহত।’ গাইঘাটার বিধায়ক থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ ছিলেন গোবিন্দ দাস। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গীও বটে। তাঁর কথায়, ‘ওকে দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। ও বলেছিল, এটা বিজেপি চক্রান্ত করছে। কোনও প্রমাণ নেই। তাই ওঁর গ্রেফতার হওয়াটা দুঃখজনক।’ আর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন অনেক ঘটনা দেখতে হবে আমাদের।’
আরও পড়ুন: ‘আমার লক্ষ্মী ক্লান্তি ভুলে গায় জীবনেꦍর জয়গান’, লক্ষ্মীপুজোয় নতুন কবিতা মমতার
তাহলে কি সংগঠনে প্রভাব পড়বে? উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের একগুচ্ছ কর্মাধ্যক্ষ, ব্লকস্তরের বহু নেতা মন্ত্রীর ‘ডানহাত’ ছিলেন। তাঁরা একটু চাপে পড়েছেন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের দলের বটবৃক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতই ইডি বা সিবিআই লেলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পেরনোর চেষ্টা করুক বিজেপি, লাভ হবে না।’ আর মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানে সৌগত রায়কে আরও বেশি ভোটে জিতিয়ে আনব আমরা। এটা নিশ্চিত।🍷 যত আক্রমণ আমাদের উপর নেমে আসবে, সেই আক্রমণের প্রতিফলত ততটাই ঘটবে ভোটের বাক্সে। আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যদি কিছু থেকে থাকে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমাদের ব্যবধান বাড়বে এবং আসনও বাড়বে।’