রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ না করলে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর আনারুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। নারকীয় ঘটনার সময় রাতে তিনি হাসপাতালে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন।ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন আনারুল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হয় আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। না হলে যেখান থেকে হোক গ্রেফতার করতে হবে। আনারুল হোসেন যদি পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়ত এই ঘটনা ঘটত না। যাঁরা জেনেও পুলিশকে ঠিক মতো কাজে লাগাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ আর আনারুল হোসেন কী বলেছেন? এই গণহত্যার ঘটনা নিয়ে আনারুল হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। উপপ্রধানের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে থানায় এসেছি। সিসিটিভিতে তার প্রমাণ আছে। কেউ দেখাক আমি ওই সময় গ্রামে গিয়েছিলাম।’ যদিও আক্রান্তদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পিছনে আনারুল হোসেনের হাত ছিল। এমনকী পুলিশকে আটকে দিয়েছিলেন আনারুল বলে অভিযোগ।আজ, বৃহস্পতিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। পুলিশকেও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তদন্ত তদন্তের পথে চলবে। আমি কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যে পুলিশ অফিসার জড়িত, তাঁদেরও ছাড়া হবে না।’ আর সরাসরি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।