৪২ টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে লোকসভা ভিত্তিক ইলেকশন কমিটি বা নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বীরভূম কেন্♔দ্রের সেই কমিটি থেকে বাদ পড়লেন তৃণমূল নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এর আগে তাঁকে কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপর এবার 𒊎এই কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটি থেকে কাজল বাদ পড়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূমের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুনঃ ‘নির্বাচনী ক♔মিটিতে কাজ করা সম্ভব নয়’, বিদ্রোহ করে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল ꦛনেতা
বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এই মুহূর্তে গরুপাচার কাণ্ডে বন্দি রয়েছেন তিহাড় জেলে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে সংগঠনকে মজবুত করতে সম্প্রতি ৫ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল 🌱কংগ্রেস। তাতেও কাজল শেখের নাম ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তাত𒆙ে দলের অন্দরে উঠেছিল প্রশ্ন। আর এবার ৪২টি কেন্দ্রে লোকসভা ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল।
বীরভূমে দুটি ল𒆙োকসভা কেন্দ্র রয়েছে। একটি হল বোলপুর অন্যটি বীরভূম। তবে বোলপুরের নির্বাচন কমিটিতে কাজল শেখের নাম থাকলেও বীরভূমে কমিটিতে তাঁর নাম নেই। সেখানকার বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতি ও দলের অন্যান্য নেতৃত্বকে এই কেন্দ্রের কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য কাজল শেখ জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। দল যা ঠিক মনে করেছে সেটাই করেছে। এছাড়াও, তিনি জানান, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কাজল দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ না করলেও এ নিয়ে আলোচনা তৃণমূলের অন্দরে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি কালীঘাটে নিজের বাসভবনে বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৯ জনের কোর কমিটির পরিবর্তে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। তাতে চন্দ্রনাথ সিংহ, অভিজিৎ সিংহ রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুদীপ্ত ঘোষকে রাখা হয়। কাজল শেখ ছাড়াও বাদ পড়েছিলেন শতাব্দী রায়।
এর পাশাপশি বিভিন্ন কাজের কাজলকে ধমক দিয়েছিলেন দলনেত্রী। তার পর জেলার নির্বাচনী কমিটি থেকেও কাজল বাদ পড়লেন। উল্লেখ্য, তৃণম💟ূল যে নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে সেই প্রত্যেক কমিটিতে একজন করে চেয়ারম্যান, সহ চেয়ারম্যান এবং কার্যকরী সদস্যরা রয়েছেন। এই কমিটিতে কতজন করে সদস্য থাকবেন সে বিষয়টিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা কেন্দ্রের ভিত্তিতে এই কমিটির সদস্যসংখ্যা আলাদা।