পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন দুয়ারে। তার আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বাসন্তীর তিতকুমার গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদ চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি পর෴্যন্ত হয়েছে। এমনকী এলাকায় গুলি চলার অভিযোগও উঠেছে। রাস্তায় গুলিꦍর খোল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশি রাতে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বটতলী এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়।
ঠিক কী ঘটেছে বাসন্তীতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যার স্বামী গণেশ সরকার এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দিলীপ হালদারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। সেটাই গতকাল, রবিবার গ্রামে বোমাবাজি শুরু হয়। মুহুর্মুহ গুলি𝄹ও চলে বলে অভিযোগ। বিধায়কের প্রতিনিধি জাহির খানের অনুগামীদের সঙ্গে দিলীপ হালদারের অনুগামীদের মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজির লড়াই চলে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায়ꦆ তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী–সহ পাঁচজনকে আটক করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং এসডিপিও’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা লক্ষী সরকারের স্বামী গণেশ সরকার–সহ পাঁচ অভিযুক্তকে পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দে🤡খা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বাসন্তীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল অশান্তির দায় চাপিয়েছেন আইএসএফ, আরএসপি ও বিজেপির ঘাড়ে। এই তিন দলের কর্মীরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শাসকদলের অভিযোগ। এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা এলাকা দখলের লড়াই অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে এই বোমাবাজি, গুলওির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।