মনোনয়ন থেকে গণনা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, ছাপ্পা, ভোটলুঠের অভিযোগের পর আদালতের নির্দেশে আটকে রয়েছে বোর্ড গঠন। এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃ♋ণমূলের বিরুদ্ধে বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের ভয় ও প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার এল একেবারে সরাসরি বিরোধী ISF প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ। তাও ১ জন নয়, তিন তিন জন জয়ী বিরোধী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আইএসএফের ২ জয়ী প্রার্থী ও কংগ্রেসের ১ জয়ী প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কুলপি বিধানসভা গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫। নির্বাচনে ৬ ꦓটি আসনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থীরা। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি আসন ও আই এস এফ ২, বিজেপি ১ সি পি আই এম ১টি আসন। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লা🐷ভ করায় তাদের পক্ষে প্রধান গঠন করা অসম্ভব।
তাই আইএসএফের জয়ী প্রার্থী কৃপারামপুরের নকিব গায়েন, দৌলতাবাদের রেজাউল পাইক ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থ🐬ী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসকদলের গাজীপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভ𒈔াপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজী꧒পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীౠদের কে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্র🐽েসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্ব🎉ীকার করেন গাজীপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা।
পাশাপাশি নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানায় তারা নিরাপদ জায়গায় রয়েছে এবং নিজেদের ইচ্ছায়🦩 তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন।
বিরোꦜধীদের অভিযোগ, শাসকদল পঞ্চায়েত বোর্ডꦍ গঠন করতে না পেরে বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের উপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। গাজীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনী ফলাফলে কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই অপহরণের পথ নিয়েছে তৃণমূল।