কঙ্কালীতলায় আজ পুজো দিতে এসে কেঁদে ফেললেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে শক্তিপীঠে যান বাবা কেষ্ট। হাতজোড় করে প্রার্থনা করার সময় কেঁদে ফেলেন। আর পুজো দিয়ে মেয়ের হাত ধরে মন্দির থেকে বেরিয়ে এলেন। ত🔯খনও চোখে জল। আসলে জেলের ভিতর যে নিদারুণ কষ্ট পেতে হয়েছিল কেষ্টকে, এটা ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন শরীরও খারাপ তাঁর। তাই দু’বছর পর জামিন পেয়ে জেলায় ফিরে বোলপুরের দলীয় কဣার্যালয়ে ঢোকেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার পুলিশকর্মীদের কাঁধে ভর রেখে অনুব্রত চলতে থাকেন দেখা যায়।
নয়াদিল্লির তিহাড় জেল থেকে বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। একই মামলায় সুকন্যারও জেল হয়েছিল। বাবা–মেয়ে বাড়ি ফেরার পর সবসময় তাঁদের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। কঙ্কালীতলায় পুজো দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল জানান, তিনি ভাল নেই। পায়ের একটি সমস্যায় ভুগছেন। কদিনের মধ্যে কলকাত๊ায় যাবেন চিকিৎসা করানোর জন্য। কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে। কঙ্কালীতলায় মায়ের কাছে মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: সাগর দত্ত হাসপাতালে গিয়ে গো–ব্যাক স্লোগান শুনল কংগ্রেস, বিড়ম্বনায় শুভঙ্কর
পায়ে এবং কোমরে সমস্যা আছে অনুব্রত মণ্ডলের। তিহাড়ে থাকার সময় এই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাড়ি ফিরে অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর পা ও কোমরে ‘ব্যথা’ আছে। পরদিনই পুলিশকর্মীর কাঁধে ভর দিয়ে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীরা সাহায্য করতে পারেন কি? উঠছে প্রশ্ন। বোলপুর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কোপাই নদীর তীরে অবস্থিত কঙ্কালীতলা। এখানে সাধকরা এসে সাধনা করেন। আবার সাধারণ মানুষ এখানে পুজো দিয়ে শান্তি পান। কেষ্টর এই কঙ্কালীতলা💞য় পুজো দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।