আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার রেশ এখনও অব্যাহত। তার মধ্যেই কৃষ্ণনগরে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবতীর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ܫযুবকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। আর এই অভিযুক্ত প্রেমিক জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিত বলে আজ তৃণমূল কংগ্রেস হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল।
আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূ🤪ল ෴কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস এই প্রেমিকের বিষয়ে নানা তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। কারণ এই প্রেমিক রাহুল বসু আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আওয়াজ তুলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা, গালমন্দ করেছিল। এমনকী বামপন্থীদের নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করত বলে অভিযোগ নীলাঞ্জনের। অথচ এই রাহুল বসুই নিজের প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। সুতরাং জুনিয়র ডাক্তাররা এখন তাঁদের কমরেডের কৃতকর্মের দায় নেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন নীলাঞ্জন।
এই তথ্য সামনে নিয়ে এসে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। অভিযুক্ত যুবক রাহুল বসুর মায়ের দাবি ছেলে নির্দোষ। অভিযুক্ত যুবকের মায়ের দাবি,♚ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ি ফেরে। ছেলে তাঁকে জানিয়েছিল, সে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে সামান্য কিছু খেয়ে ছেলে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই যুবতী বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা ফেরত চাইতেই প্রেমিক–প্রেমিকার মধ্যে ঝামেলা হয় বলেও অভিযোগ। যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আটক কাকদ্বীপের ৩১ জন মৎস্যজীবী, পদ্মার ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েই বিপত্তি
এই ঘটনার পরই যখন যুবতীর অর্ধনগ্ন ও পোড়া দেহ উদ্ধার হয় তখন থেকেই রাহুল বসু সন্দেহের তালিকায় চলে আসে। এই যুবতী নাকি একবার ১৫ দিন প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েও থেকে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। এসব তথ্যের মাঝে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নীলাঞ্জন দাস এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কৃষ্ণনগরে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুল বসু। ফেসবুকে জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগান তুলে সরব ছিলেন। বামেদের একাধিক পোস্ট শেয়ার করতেন। আর নিজেকে গর্বিত হꦍিন্দু বলে দাবি করতেন। সে নিজের বান্ধবীকে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে অর্ধনগ্ন দেহ পুজোমণ্ডপের সামনে ফেলে দিয়ে যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ঘৃণা করেন রাহুল তা পোস্ট করে꧂ছেন নিজেই। তাই এখন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা কি তাঁদের কমরেডের ভয়ঙ্কর অপরাধের দায় নেবে?’