পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনো𒅌নয়ন পর্ব থেকেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ যে অমূলক নয় তা প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। বেআইনিভাবে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ায় আদালতে গিয়ে চড় - থাপ্পড় খেয়ে এসেছেন একাধিক BDO. চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে গিয়েছে অনেকের। কিন্তু তাতেও কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকের শিক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যেমন মালদায় তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এমন ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন পিছিয়ে দে🧸ওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের যদিও দাবি, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত। বিরোধীদের দাবি, দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে সময় কিনছে তৃণমূল।
মালদার হবিবপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল সোমবার। এই ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। অভিযোগ, রবিবার ছুটির দিন এক নির্দেশিকা জারি করে জেলাশাসক সোমবার বোর্ড গঠনের সভা স্থগিত রেখেছেন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কবে সভা হবে তা ১৫⛎ দিনের মধ্যে ঠিক করে জানাবে প্রশাসন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারায় এদিনের সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত।
বিরোধীদের প্রশ্ন, বেছে বেছে কেন তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এমন ২ পঞ্চায়েত সমিতিতেই বোর্ড গঠন পিছনো হল। তাদের দাবি, বিরোধী সদস্যদের ভাঙিয়ে 🐬ওই ২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। তাই প্রশাসনের কাঁধে কামান রেখে সময় কিনছে তারা। যদিও তৃণমূলের দাবি, সভা স্থগিত রাখার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।