আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি নানারকম বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। এমনকী নিজের বাবা তথা রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী কমল গুহর সময়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে শোরগোল ফ💙েলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার রবিবার আবার এমন এক মন্তব্য করে বসেছেন উদয়ন গুহ যা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচಌনে অনেকেই এই জেলা থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে পারেন বলে জানতে পেরেছেন উদয়ন। তাই আগাম তাঁদের উদ্দেশে হুমকি দিয়ে রাখলেন।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়েই হুমকি দিয়েছেন তিনি। দিনহাটার বিধায়কের সাফ কথা, দল সকলকে প্রার্থী করতে পারবে না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে যদি কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়ান, তাহলে গত পাঁচ বছরে যা খেয়েছেন তার হিসাব দলকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, গত পাঁচ বছরে টাকা খাওয়া হয়েছে। আর তাই উদয়নের এই মন্🐓তব্য তৈরি করেছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যদের ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, ‘খেয়ে’ যাঁরা তৃণমূলে𒁏 থাকবেন, তাঁদের কি সাত খুন মাফ? আর নির্দল হলেই কোপে পড়তে হবে?
অন্যদিকে কোচবিহারের ভারত–বাংলাদেশ আনไ্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা এলাকায় কর্মিসভা করেন উদয়ন গুহ। কালমাটি হীরারভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রকাশ্য সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ করে দেওয়া প্রার্থীদের যার পছন্দ হবে না, তাদের জন্য দরজা খোলা আছে। সে নির্দল হবে, বিজেপি হবে নাকি সিপিএম হꦡবে, সেটা সে ঠিক করে নেবে।’
ঠিক কী বলেছেন উদয়ন? দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী এদিন দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে সরাসরি হুঁশিয়ারি দে🥃ন। যা নিয়ে দলের অন্দরে পর্যন্ত চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে সুযোগ সুবিধে নিয়েছেন অনেকে। মানুষ যা সুবিধা পেয়েছে তার থেকে বেশি সুবিধা নিয়েছেন। আর আজ যদি দল টিকিট না দেয় তাহলে নির্দল হয়ে দাঁড়ালে গত ৫ বছর যা যা খেয়েছেন তার হিসাব পার্টির কাছে দিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আপনাকে ছাড়া হবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটায় এসেছিলেন রাত ক🍨াটাতে নয়। তিনি সব দেখে গিয়েছেন। কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখা যাবে না। অভিষেকের রিপোর্ট দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা তৈরি করবেন। যাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করবেন সেই প্রার্থীকে দলের কর্মীদের জয়ী করার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’