পিকে আসার পর দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, এমনই দাবি করলেন হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি। তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের এই বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর মতে, ‘পিকের মতো ভাড়াটেদের এনে সফলতা পাওয়া যায় না।’ জট♛ুবাবুর অভিযোগ, ‘প্রথম প্রথম কথা শুনেছেন পিকে। কিন্তু তার পর আর কোনও নির্দেশ শোনেননি।’ এ ব্যাপারে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েও নাকি কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
শনিবার জটু লাহিড়ি বলছিলেন, ‘একদিন হঠাৎ শুনলাম দল পরিচালনার জন্য আসছেন এক ভোট বিশেষজ্ঞ। পিকে না কী নাম যেন! আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর যা ক্ষমতা আছে, বাইরের কাউকেই দরকার নেই। কিন্তু পিকে এখানে আসার পর আমাদের দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। বহুবার আমায় অপমানিত হতে হয়েছে। পিকে–র টিমের এক যুবক ও এক মহিলা এসে হঠাৎ বললেন আমা🀅কে নাকি এক মিছিল করতে হবে। জেলা☂য় তাঁদের কী সব পদ রয়েছে বলে জানালেন। সে একের পর এক নির্দেশ। এই করতে হবে, সেই করতে হবে। মিছিল করতে হবে। রাত জাগতে হবে। প্রথম প্রথম ওদের কথা শুনেছি। কিন্তু পরে মনে হচ্ছে যে এটা ঠিক নয়।’
জটুবাবুর সরাসরি জিজ্ঞাস্য, পিকে বা তাঁর দলকে এত এত টাকা কে দিচ্ছে? তিনি জানান, যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ওই যুবক বেতন পান ৩০ হাজার টাকা। ৪৫ হাজার টাকা মাইনে পান ওই ভদ্রমহিলা। এত টাকা এদের কে দিচ্ছে? সারা রাজ্য কত মানুষ এভাবে টাকা পাচ্ছেন? জটু লাহিড়ির মতে, ‘সারা বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বাইরের কাউকে ভাড়া করে আনার দরকার নেই। মমতা একাই একশো।’ তিনি বলছিলেন, ‘মাস দুয়েক আগে এসে বল൩ল যে তিনটি যাত্রা করতে হবে। আমি পরিষ্কার তাঁদের জানিয়ে দিয়েছি যে তাঁদের কথা আমি শুনব না। আর আসার দরকার নেই আমার কাছে। জেলা সভাপতি রয়েছেন। তাঁর নির্দেশ মানব আমি। বাইরের কারও নয়।’
জটু লাহিড়ির আরও অভিযোগ, যোগ্য হয়েও তাঁকে হাওড়ার পুরসভার মেয়রের পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘২০১৩ সালে মুকুল রায় জানালেন যে, কোনও বিধায়ক কাউন্সিলর হতে পারবে না। এটা নাকি দলনেত্রীর নির্দেশ। কিন্তু কলকাতা পুরসভা বা বিধান♏নগরে বিধায়করাই কাউন্সিলর হলেন। আমার ক্ষেত্রে এর অন্যথা হল কেন?’ তাঁর দাবি, ‘হাওড়া পুরসভার নাড়ি–নক্ষত্র আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। কিন্তু আমাকেই সেখান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এ সব করা হল। কারণ, আমি থাকলে মেয়রের দাবিদার হতাম।’