গোষ্ঠী কোন্দল বা দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব তৃণমূলে নতুন কিছু নয়। তবে সেই অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে কোনও তৃণমূল নেতা সরাসরি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন? এমনটা মনে হয় আগে সেভাবে হয়নি। তবে এমন কাজ করেই বিস্ফোরণ ঘটালেন ইসলামপুরের বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আবদুল করিম চৌধুরী। দলের ব্লক সভাপতিকে নিয়ে তাঁর অসন্তোষের জেরেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: পার্থকাণ্ড কোন ছাড়, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সা🍸য়গলের সম্পত্তির পরিমাণে চোখ উঠবে ꦚকপালে)
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর অভিযোগ, দলের ব্লক সভাপতি একজন ‘সন্ত্রাসবাদী’। এই আবহে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ক্ষুব্ধ তৃণ🌌মূল বিধায়ক বলেছেন, ‘আমি দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আজকে আমাকে এভাবে সর💧িয়ে দিচ্ছেন? আমার এলাকাকে আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি মমতাদিকে বলেছিলাম, এই সন্ত্রাসবাদীটাকে নেতা করবেন না। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি সন্ত্রাস করে নির্বাচন করি না।’
আরও পড়ুন: বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী 🐽বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম
তৃণমূল বিধায়ক দলেরইꦺ ব্লক সভাপতিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, যে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে করিমের নিশানা ♍তাঁর নাম জাকির হোসেন। তিনি জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের অনুগামী বলে পরিচিত। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের মাঝে বিধায়ক সরাসরি মমতার দিকে আঙুল তোলায় ঘটনাতে নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হাইজ্যাক’ দল? উধꦍাও মমতা, হোর্ডিংয়ে শুধুই অভিষেক! ‘নতুন তৃণমূল’ ঘি🍃রে জল্পনা
বিধায়ক বলেন, ‘আজ পর্যন্ত ১১ বার ভোটে জিতেছি। টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কিন💫িনি। আমি হিংসার করচে চাইনি। বুথ দখল করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চাই, যে আমি বিধায়ক। আমার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আলাদা লোক দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন? আমি এটা মানব না। যদি, আপনি বলেন যে, আমি মিথ্যা বলছি ☂বা বলেন, করিম দা আপনি পদত্যাগ করুন, তাবলে আমি পদত্যাগ করব।’
এদিকে যাকে ঘিরে এত কাণ্ড, সেই জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত দিনে দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হি🌄সেবে দলের কোনও বিধায়কের সমালোচনা 💮করতে চাই না। যদি কোনও সাংবাদিক বৈঠকে ওরকম কিছু বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা দল দেখবে। দল বিচার করবে।’