সিবিআই অফিসাররা তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে গিয়ে টানা ১৪ ঘণ্টা জেরা করে তাঁকে। আজ, শনিবার সকাল ছ’টায় বিধায়কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু তেহট্ট ছাড়েনি সিবিআই। বরং এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। আজ, ইদের দিন সকাল ৬টা নাগাদ তেহট্টের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সিবিআই🙈য়ের অফিসাররা। আর তারপরই সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।🌞 সংবাদমাধ্যমে জানালেন তাঁর বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া। যাতে আছে পাল্টা চ্যালেঞ্জও।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া বিধায়কের? সিবিআই তাপস সাহার বাড়িতে এসেও জোরদার তল্লাশি করেছে। পুকুর পরিদর্শন করেছেন অফিসাররা। বাড়ির সর্বত্র তল্লাশি করেছেন তাঁরা। কিছু নথি পোড়ানোর অভিযোগ ওঠায় ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে সিবিআই। পোড়া নথির বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই বলে খবর। এই ঘটনা নিয়ে বি🙈ধায়ক ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘সিবিআই শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আমার বাড়িতে এসেছিল। তারপর কী করেনি। রান্নাঘর, বাথরুম, আমার ছেলের ঘর, কাজের মেয়ের ঘর—সব জায়গায় তল্লাশি করেছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? তাপস সাহাকে সারারাত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বিধানসভা এলাকার দুই ঘনিষ্ঠ মিঠু শাহ এবং মলয় বিশ্বাসকে নিয়েও বিধায়ককে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। বেতাইয়ের ডক্টর বি.ಌআর.আম্বেদকর কলেজে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তারপর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাস🍰াবাদ করতে শুরু করে সিবিআই। এমনকী ভোর ৫টা নাগাদও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ–পর্ব চলে বলে সূত্রের খবর। সিবিআইয়ের ১২ জন অফিসারের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তবে তিনি বিচলিত না হয়ে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৬৮টি নথি উদ্ধার করে সিবিআই। তবে সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আগের নথি নাকি নতুন তা খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা।
ঠিক কী বলছেন ত🍨াপস সাহা? তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস সাহাকে আবার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই বলে জানা যাচ্ছে। এই গোটা ১৪ ঘণ্টা জেরা–পর্বের পর বিধায়ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে পাল্টা চ্যালেঞ্জের সুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমার কাছে তেমন কিছু পায়নি সিবিআই। কলেজেও কোনও কিছু আপত্তিকর পায়নি তদন্তকারীরা। সে বিষয়ে আমাকে একটি লিখিত ক্লিনচিট দিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই ভেবেছিল তাপস সাহার বাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ১০ কেজি সোনা পাওয়া যাবে। কিন্তু কিচ্ছু পায়নি। আমার কাছে যে নথি চাওয়া হয়েছিল সেসব দিয়েছি। আমি লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসেছি। তেহট্টে তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু ছিল না। যা করার আমিই করেছি। আমি এটা জানি, কেউ থাক বা না থাক, আমার মাথায় দিদির হাত রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে💞 দলকে জিতিয়ে দেখিয়ে দেব।’