ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ উপকূলবর্তী জেলাগুলি তছনছ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিতে সরকারি প্রশাসনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দ🦂লকে সরিয়ে রেখেছেন। আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে, অভাব–অভিযোগ শুনতে দলের নেতা–নেত্রীদের এগিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার সেই নির্দেশ মতোই বিধ্বস্ত পাথরপ্রতিমায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেও তিনি বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার আরও বেশি করে মানুষ কাছে পেল তাঁকে। কারণ জলপথে গোটা এলাকা ঘুরে দেখলেন তিনি। কোন কোন এলাকায় কতটা ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। দুর্গতদের সঙ্গে কথাও বললেন।
গত ২৬ মে বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।♐ তার প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। দিঘা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন গ্রাম চলে যায় জলের তলায়। বুধবার সেই গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দেবীচকের ত্রাণশিবিরে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক–সহ দলের নেতানেত্রী। সেখানে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। রাজ্য সরকারের প্যাকেজ অনুযায়ী দুর্গতরা ত্রাণ পাবেন বলে আশ্বাস দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনাদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা এবং পুরোপুরি ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য পাবেন। গবাদি পশু, পান🍰ের বরোজের ক্ষতি হলেও অর্থ সাহায্য মিলবে। একইসঙ্গে মৎস্যজীবীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি অনুরোধ করব সকলে এখানেই থাকুন। কেউ সাহায্য করুন না করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কোনও চিন্তা করবেন না।’
এদিন জলপথে পাথরপ্রতিমার একাধিক জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতরা সকলে খাবার, জল–সহ অন্যান্য প্রয়🦩োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা, খোঁজখবরও নেন। এলাকা পরিদর্শনের পর দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন অভিষেক। সেখানে মানুষের সাহায্য এগিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি সবাই যাতে ত্রাণ পায় সেদিকে নজর দিতে বলেন। কারও কোনও ꩲঅসুবিধা হলে তৎক্ষনাৎ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন তিনি।