তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই ভবানীপুর থানা থেকে দুষ্কৃতীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশকে হুমকি দেওয়ার ভিডিয়ো ফোনে ফোনে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়লেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ থানা এলাকার চাঁপালি গ্রামেরবুধবার রাতে আদালতের নির্দেশে সেখানে সইফুদ্দিন মোল্লা নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে যান মিনাখাঁ থানার পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বাধা দেন মিনাখাঁ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লস্কর, চাঁপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবদুল হামিদ মোল্লা ও তৃণমূল কর্মী আমিরুল মোল্লা। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর পর সবাইকে গ্রেফতার করে আদালতে পেস করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদের মধ্যে আশরাফুল ও আমিরুলের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকিদের জেল হেফাজত হয়েছে।অভিযুক্তদের দায় অস্বীকার করে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা শমীক রায় বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে দলমত নির্বিশেষে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। অভিযোগে সত্যতা থাকলে পুলিশ পদক্ষেপ করবেই।’পালটা বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘এই পুলিশ বিজেপির কর্মসূচি দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তৃণমূল পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বসিরহাটে আইনের শাসন নেই। মানুষের প্রাণ ও সম্পদ সুরক্ষিত নয়।’