১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও রয়েছে দীর্ঘ ক্ষোভ। তবে সম্প্রতি সরকারি তরফে জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকার এই বকেয়া মজুরি দেবে। সেই মতো প্রশাসনের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য় যাচাই করা হচ্ছে। এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এনিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। কিন্তু ফর্মে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত কিছু তথ্য চাওয়া হচ্ছে। আর এখানে মূল সংশয়টা দেখা দিয়েছে। কারণ ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় যাতে গোপন রাখা হয় সেব্যাপারে সরকার থেকেই বার বার সতর্ক করা হয়। এদিকে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্যাম্প করে বিশেষ ফর্ম বা সহায়তাপত্র দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সহায়তাপত্রে উপভোক্তাদের কাছ থেকে সেই ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় চাওয়া হচ্ছে। এখানে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তারপরেও শাসকদলের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় চাওয়া হচ্ছে বলে দাবি উপভোক্তাদের একাংশের। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কিছুটা কমেছে। মূলত একের পর এক দুর্নীতির জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কাছে ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় দিতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। ১ মার্চ উপভোক্তারেদর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি আসার কথা রয়েছে। তা নিয়ে আশায় দিন গুনছে অনেকেই। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন যেভাবে ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় চাইছে তাতে মহা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন উপভোক্তারা। কারণ সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর পাওয়ার পরে যদি কিছু কারচুপি হয় তারই ভয় পাচ্ছেন উপভোক্তাদের একাংশ।এদিকে সেই ফর্মে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের নাম, তাঁর বয়স, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড, জব কার্ড নম্বর ও মোবাইল নম্বর লিখতে হচ্ছে। কিন্তু উপভোক্তাদের প্রশ্ন তৃণমূলকে এসব জানাব কেন? যদি কিছু গরমিল করে দেয় তার দায় কে নেবে?এদিকে তৃণমূলের নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্র সময়মতো টাকা দিয়ে দিলে এসব করতে হত না।টাকা দেওয়ার জন্য কিছু তথ্য় দরকার লাগে। সেকারণে নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকে আবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য় দিয়েছেন। আসলে তাঁরা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে এই তথ্য় না দিলে হকের টাকাটা পাবেন না। আবার এই তথ্য় যদি ফাঁস হয়ে যায় বা প্রতারকদের হাতে পড়ে যায় তবে তো সমস্যা বাড়বে।