রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এখনও বছর পর। সেই লক্ষ্যে এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে যে সমস্ত এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল সেখানে জনসংযোগে জোর দিতে চলেছেন নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেও মূলত তিনটি বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেগুলি হল বলাগড়, চুঁচুড়া এবং সপ্তগ্রাম। এই বিধানসভা এলাক🍸াগুলিতে তৃণমূলের হাত শক্ত করতে এবার সর𒈔াসরি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করবেন নেতারা।
আরও পড়ুন: এবার মহাপ্রচারে নামতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ🐲্যায়, জনসংযোগ কর্মসূচি থাকছে
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়ী হলেও দেখা যাচ্ছে শুধু চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকাতে প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে তা সত্ত্বেও কেন ভোটাররা তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। সেইসব কারণ জানতে উদ্যোগী হয়েছেন নেতৃত্ব, যাতে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকাগুলিতে ভালো ফল করা যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরাসরি ভোটারদের বাড়ি গিয়ে তাদের অভাব অভিযোগের কথা শোনা হবে। পঞ্চায়েত বা পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন? তারা ঠিকমতো যোগাযোগ রাখছেন কিনা বা ভোটাররা ঠিকমতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। এছাড়া, যে সমস্ত এলাকাগুলিতে বিজেপি লিড পেয়েছে সেখানে ভোটাররা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন না তা জানতে চাওয়া হবে। যদি কোনও ভুল 🐽থাকে সেগ🃏ুলি সংশোধন করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতেই দেবীপুর থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করা হবে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, তৃণমূল পিছিয়ে পড়া এলাকা🐓গুলিতে জনসংযোগ চালাবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে। প্রতিটি মানুষের কাছেই যাওয়া হবে। অসিত আরও জানান, তৃণমূলের তরফে এই এলাকায় যাকেই প্রার্থী করা হোক না কেন তিনি ব্যাপকভাবে প্রচার চালাবেন। প্রার্থীকে ৫০ হাজার ভোটে জেতাবেন।
এনিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, অসিত তিন বারের বিধায়𒆙ক হলেও এত দিন তিনি মানুষের কোনও খোঁজ রাখেননি। আর তৃণমূলের সকলেই দুর্নীতিগ্রস্🐷ত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই দুর্নীতি করেছে। এমনকী পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকাও চুরি করছে, আবাসের টাকা চুরি করছে, রেশন চুরি করছে। ২০২৬ সালে মানুষ তার জবাব দেবে।