তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ঘটনাটি হুগলꦏির কোন্নগর পুরসভার। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওরফে বুচু। তিনি কোন্নগর পুরসভার পরিবহণ বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। এই অভিযোগ ওঠার পরে বিশ্বজিৎকে কাজ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘৩ ওদিন সহবাস করলেই উন্নতি হবে’ মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় পুরোহিতকে মার জনতার
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্☂সিলর পরিবহণ বিভাগের কর্মী। সেই সূত্রে বিশ্বজিতের সঙ্গে তার পরিচয়। তৃণমূল কাউন্সিলর বিবাহিতা। তবে দু'বছর আগে তার স্বামী মারা গিয়েছিলেন। তারপর ছেলেকে নিয়ে তিনি কোন্নগরের বাড়িতে থাকেন। তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, কাজের সূত্রেই বিশ্বজিতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর কাজ নিয়ে ম🌊াঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ফোনে কথা হত। তবে সেই সুযোগে তাকে রাতেও ফোন করতে শুরু করেন বিশ্বজিৎ।
এরপর নানারকম ভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে বলে অভিযোগ। ফোন করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্ജযাপ মেসেজেও বিশ্বজিৎ তাকে অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী নিষেধ করা হলো ওই কর্মী রাতে ফোন করা অথবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে তা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের কাছে অভিযোগ জানান। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরসভার চেয়ারম্যান 🎃দু’মাসের জন্য কাজ থেকে বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করেছিলেন। তবে ১ মে থেকে আবার তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ব🌼জিৎ দাস পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ। ফলে কেউ তাকে কিছু বলতে পারছেন না। কাজে যোগ দেওয়ার পরে আবার বিশ্বজিৎ তাকে উত্যক্ত করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ।
পড়ুনঃ '১২ বছর বয়সে যৌন নিগ্রহের শিকার! ভয়ে ꦏকাঁপতাম,কেউ ছিল না’, নীরবতা ভাঙলಌেন চূর্ণী
এই ঘটনার পর উত্তরপাড়া থানায় বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। যদিও চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পুলিশ🌊 পদক্ষেপ করুক। দলের কর্মী যদি অন্যায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরসভার অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প☂ুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।