পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোহারা হেরে যাওয়ার পর বিজেপির নেতা–মন্ত্রীরা রাজ্যের সরকার ফেলে দিতে মরিয়া। শুভেন্দু অধিকারীর ৩৫৫ ধারার থিওরি থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার–শান্তনু ঠাকুরের পাঁচ মাসের মধ্যে সরকার ফেলে দেওয়ার নিদানে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। ইতিমধ্যেই তাঁরা পাঁচ মাসের উল্লেখ করে কার্যত ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এসব মন্তব্যকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আর এই আবহে আগামীকাল, মঙ্গলবার ক্যানিং যাওয়ার কথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ভোট পরবর্তী হ🐬িংসায় ♛আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। আর সেখানে আসার আগেই শুভেন্দুকে হুমকি দিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক।
এই হুমকি নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ দু’দিন আগেই বিরোধী দলনেতা ভাঙড় আসার জন্য আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে দরজা খুলতে অনুরোধ করেন। নো ভোট টু মমতা বলতে আহ্বান করেন। আর তারপরই ক্যানিংয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে🍃ন। তবে ক্যানিংয়ে গেলে শুভেন্দু অধিকারীকে বেঁধে রাখার হুমকি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্যানিং, ভাঙড়ে সন্ত্রাস দেখা দিয়েছিল। তাতে আইএসএফ এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়ে🅷ছেন। এখন ভোট পরবর্তী হিংসা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি আছে।
এদিকে ক্যানিং–১ নম্বর ব্লক তথা ক্যানিং পশ্চিম ব🐼িধানসভা কেন্দ্রে অশান্তি দেখা দিয়েছিল। সেখানে গুলি, বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হয় বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ, তৃণমূল, কংগ্রেস প্রার্থী–কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, হিংসার ঘটনা সরেজমিনে দেখতে ক্যানিংয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও ক্যানিংয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৩টি জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হয়। এবার সেখানে আসার কথা শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া গণতন্ত্র বিরোধী’, শান্তনু–সুকান্ত বিরোধ𓃲ী লাইনে দিলীপ
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বি💛ধায়ক? সামন𝄹েই তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। তার প্রস্তুতি হিসাবে সভা করার কাজ চলছে। তাই ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়। সেখান থেকে ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ রাম দাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্যানিংয়ে এসে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে তাঁকে বেঁধে রাখব।’ সুতরাং সেখানে মঙ্গলবার তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টির নিন্দা করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচার চলেছে। মনোনয়ন জমা দিতে দেবে না, ভোট দিতে দেবে না। তৃণমূল ধরা পড়ে গিয়েছে। লুঠেরা বাহিনী তৃণমূল দল চালাচ্ছে। মানুষ সব দেখছে।’