এবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে কি ‘এক ব্যক্তি, 🧔এক পদ’? বিধানসভা ভোটে ‘ডবল সেঞ্চুরির’ পর শাসকদলের প্রথম সাংগনিক বৈঠকের আগে সেই জল্পনার মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। তার জেরে একাধিক বিধায়ক এবং মন্ত্রী সাংগঠনিক পদ খোয়াতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
করোনাভাইরাসের জেরে এমনিতেই এবার নয়া আঙ্গিকে তৃণমূলের বৈঠক হতে চলেছে। প্রথমে দুপুর দুটো থেকে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষনেতারা হাজির থাকবেন। সেই বৈঠকের পর দুপুর তিনটে থেকে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে রাজ্য💙ের সব জেলার সভাপতি, রাজ্যসভা-লোকসভার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, পুরসভার চেয়ারম্যানদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির দূরের জেলার প্রতিনিধিদের সশরীরে হাজির থাকতে বারণ করেছে তৃণমূল। শুধু দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার প্রতিনিধিদের আসতে বলা হয়েছে। তবে যে সব এলাকা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এলং ভরা কোটালের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূল ভবন🔴ে না আসার নির্দেশ গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দু'দফার সেই বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের রুটম্যাপ তৈরি করা হতে পারে। বিশেষত এবার বিধানসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর মমতাকেই নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ম🌊মতারা। কীভাবে বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্যান্য রাজ্যেও সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারা। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করা হতে পারে। যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় স্তরে মুখ করারও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, রাজ্য এবং জেলাস্তরে একাধিক রদবদলের সম্ভাবনা আছে। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ মেনে এবার একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, নেতা পদ খোয়াতে পারেন। বিধানসভা ভোটে যাঁরা ভালো কাজ করেছিলেন, তাঁদের পুরস্কার স্বরূপ পদ দেওয়া হতে হবে। সেইসঙ্গে রাজ্যের যে ১১০ টি পুরসভায় ভোট হয়নি, তা নিয়েও নির্দেশ দিতে পারেন মমতা। যে দলবদলু নেতারা তৃণমূল ফেরার জন্য মরিয়া, তাঁদেরও ভবিষ্যতের বিষয়ে দলের জনপ্রতিনিধি এবং নেতাদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খ💛বর।