বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রইল বিতর্কের কেন্দ্রেই। কখনও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে। আবার কখনও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে। এবার নয়া বিতর্ক যোগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা থেকে ছাত্র–অধ্যাপককে বরখাস্ত করা নিয়ে বিতর্ক ছিলই। এবার সেখানের ছাত্রছাত্রীরা নেশা করছেন বলে অনুব্রত অভিযোগ তুললেন বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে।ঠিক কী ঘটেছে বিশ্বভারতীতে? মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তিনি বলেন, ‘মেয়েকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। তবে এখন গুরুতর অভিযোগ পাচ্ছি বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীতে প্রচুর নেশাখোর হয়ে গিয়েছে। পাতা নাকি বলে, সেসব খাচ্ছে ছেলে–মেয়েরা। দুর্ভাগ্য আমাদের। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে মনে হয় সুইসাইড করতেন।’এই মন্তব্য করার পর তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অধ্যাপকদের একাংশ মুখে কিছু না বললেও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ছাত্রছাত্রীরাও এই কথায় ভিতরে ভিতরে ফুঁসতে শুরু করেছেন। এই ঘটনা কতটা সত্য তা নিয়ে বিশ্বভারতীর অন্দরে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী বিষয়টির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। যা এই মুহূর্তে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।এখানে একটা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে। তা নিয়ে বিতর্ক তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এই মেডিক্যাল কলেজ আমার স্বপ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি একটি মেডিক্যাল কলেজের দাবি করেছিলাম। তাই ফুলপুরে তৈরি হয় একটি মেডিক্যাল কলেজ। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তা পূর্ণ হয়েছে। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।’