বিধানসভায় শূন্য পাওয়ার পর থেকেই ভুল স্বীকারে ব্যস্ত সিপিএম। এর আগে অভ্যন্তরীণ ভাবে 'বিজেমূল' তত্ত্ব নিয়ে ভুল স্বীকার করেছিল। আর এবার আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভুল স্বীকার করল সিপিএম। তবে এবারে আর মৌখিক ভাবে নয়, একেবারে লিখিত ভাবে ভুল স্বীকার করল বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখানো এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট যে বড় ছিল তা মেনে নিল সিপিএম। দীর্ঘ চিঠিতে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে আব্বাস সিদ্দিকিরা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় ঝেড়ে ফেলতে পারেনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে গিয়ে এই জোট যে সঠিক হয়নি তাও মেনে নেওয়া হয়।চিঠিতে বলা হয়, কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর সঙ্গে আসন সমঝোতাকে সংযুক্ত মোর্চা হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টি মানুষ যে ভালো চোখে দেখেনি, তা মেনে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রাক্কালে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে বামফ্রন্ট যাতে গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশকে নেয়। নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে কর্ণপাত করা হয়নি।সত্যি কথাটা হল, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফ-র কোনও জোট গড়ে ওঠেনি। পাশাপাশি রাজ্যে যে সংযুক্ত মোর্চার আর কোনও ভবিষ্যত নেই, সেও যেন এদিন বুঝিয়ে দেওয়া হল সিপিএম-এর তরফে। এছাড়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’ স্লোগানটিকে নয়া মোড়কে পরিবেশন করাও যে ভুল হয়েছে, তাও মেনে নেওয়া হয় চিঠিতে। মানা হয়, বর্তমানের কৃষি আন্দোলনের সঙ্গে এই স্লোগান দূরত্ব তৈরি করিয়েছে। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম ইস্যুতে জোরকদমে প্রচার চালিয়ে পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ভুল হয়েছিল। এর খেসারত হিসেবে যে শূন্য পেতে হবে, তা ভাবতে পারেনি দল।