হাওড়া ডোমজুড়ের শক্তি দাস ও হুগলি ধনেখালির ধনঞ্জয় দাস। ৭ হাজার টাকার চাকরিতꦏে মাকে নিয়ে কোনওমতে দিনগুজরান করেন ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপরদহ গ্রামের বাসিন্দা অবিবাহꦰিত শক্তিবাবু। আর ধনেখালির চাঁপাবেড়ে কলেজ মোড়ে স্ত্রী, ছেলে ও বৌমা নিয়েকে থাকেন তবলাশিল্পী ধনঞ্জয় দাস। একটি বাদ্যযন্ত্রের দোকানও রয়েছে তাঁর। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই দু’জনেরই যেন আর সংসার টানা সম্ভব হচ্ছিল না। এরই মধ্যে যেন তাঁদের জীবনে হয়ে গেল এক চমৎকার। বর্তমানে শক্তি ও ধনঞ্জয়বাবু— দু’জনেই কোটিপতি। আর তাঁদের ভাগ্য ফিরিয়েছে লটারি।
দোকানে দোকানে দুধ সরবরাহকারী শক্তি দাসের ক🎃থায়, বেতনের ৭ হাজার টাকা বাড়ি আনতেই নিমেষে শেষ হয়ে যেত। ব🃏ৃদ্ধ মা ছাড়াও ঘরে দাদা, দিদি, ভাইপো, ভাগনি রয়েছে, কিন্তু তাঁদের জন্য কিছুই করতে পারতেন না। তাই বিয়ে করার সাহস হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে ভাগ্য ফেরানোর লোভেই টিকিট কাটতেন তিনি। এর আগে টুকটাক জিতলেও জ্যাকপট বাঁধে গত শনিবার। তিনি যে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁর বাড়িতে এখন খুশির হাওয়া। বৃদ্ধা মা চাইছেন ছেলে বিয়ে করুক। কিন্তু টাকা হাতে আসার পর বাড়ির বেহাল অবস্থা ফেরাতে চান শক্তিবাবু।
এদিকে, লকডাউন আর করোনা আবহে ধনেখালির সিনেমাতল𓆉ায় থাকা বাদ্যযন্ত্রের দোকান প্রায় উঠে যেতে বসেছিল ধনঞ্জয়বাবুর। ইদানিং কেউ তবলা শেখার আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। ধনঞ্জয়বাবু জানান, গত কয়েক মাস খুব অভাবে কেটেছে। তাঁরও মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল। গত বুধবার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও এক টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে ওই লটারির টিকিট কাটেন তিনি। দুপুরে ছিল খেলা। আর ওই টিকিট বিক্রেতাই তাঁকে জানান যে ধনঞ্জয়বাবুর কেনা টিকিট এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়েছে। এত টাকা দিয়ে এই মুহূর্তে কী করবে তা এখনও ভেবে🌺 পাননি তিনি। কিন্তু নতুন করে জীবন শুরু করে প্রাণ ভরে বাঁচার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।