মন্দারমণিতে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে গিয়ে মর্মান্তির পরিণতি দুই পর্যটকের। ঘূর্ণিঝডꦰ় অশনির জেরে সমুদ্রস্নানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। এরই মাঝে সমুদ্র সৈকতে চলছে মাইকিং। তবে সেসবের তোয়াক্কা না করেই সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন তিন বন্ধু। এর মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধারඣ করা গেলেও বাকি দু’জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃতেরা হলেন কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা সরিম সারফরোজ (২৩) এবং ঝাড়খণ্ডের সৃষ্টি গুপ্ত (২২)।
𓂃জানা গিয়েছে, আট বন্ধু মিলে মন্দারমণির এক হোটেলে গিয়েছিলেন গতকাল। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে সমুদ্রে নামেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন। সমুদ্রের ঢেউ ও জলের গতি বুঝতে না পেড়ে জলে তলিয়ে যান 💫তাঁরা। সেখানে সেই সময় পুলিশ মাইকিং করছিল। বেশ কিছু নুলিয়াও ছিল। তাঁরাই উদ্ধারকাজে নামেন। নুলিয়ারা স্পিডবোটে করে পর্যটকদের উদ্ধার করেন। এরপর বালিসাইয়ের বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সক দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে দেহ দু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে হোটেলে তাঁরা উঠিছিলেন, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জলে নামতে বারণ করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্দারমণি কোস্টাল থানার ওসি এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সেখানে পুলিশ মাইকি♐ং চালাচ্ছিল, নুলিয়ারাও ছিল। তাই পর্যটকদের চিত্কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তবে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে।