আবার গজরাজের তাণ্ডবে প্রাণ গেল দুই গ্রামবাসীর। হাতির হামলায় প্রাণ গেল বাঁকুড꧟়ার দু’জনের। এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। যদিও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর। বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জে হাতির হানায় মৃত্যু হল দু’জনের। এই মৃতদের নাম তুলসী বটব্যাল (৬৫) এবং মঙ্গল বাউরি (৪৫)। বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় থেকে বুধবার ভোরে দু’জনের মৃতদে🦩হ উদ্ধার হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে বাঁকুড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানে হাতির তাণ্ডবে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সংগ্রামপুরের বাসিন্দা মঙ্গল বাউরি। আর দ্বিতীয় জন ঝরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুলসী বটব্যাল। মঙ্গলবার জঙ্গলের ভিতর থেকে হঠাৎ একদল হাতি বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। তখন লোকালয়ে হাতি দেখে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন 🍌গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে পালাতে গিয়েই সংগ্রামপুরের মঙ্গল বাউরি হাতির মুখে পড়েন। হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আর বড়জোড়ার ঝরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা তুলসী বটব্যাল বাড়ির ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন। বুধবার ভোরে একটি হাতি ঝরিয়া গ্রামে হানা দেয়। এমনকী ঘর ভেঙে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে পিষে মারে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। স্বেচ্ছায় অনেকে বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। একইদিনে হাতির আক্রমণে জোড়া মৃত্যুর ঘটনা♐য় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। বড়জোড়া এবং বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধ♊ার করেছে। আর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বন দফতরের অফিসাররা। অন্যদিকে একসপ্তাহ আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর♔ের দিক থেকে ৪২টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ায়। বেশ কিছু হাতি ফিরে গেলেও আবার গত শনিবার আর একটি হাতির দল ঢোকে ওই এলাকায়। যার জেরে এই মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটেছে।